Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রেমে ব্যর্থ হয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা

রবিবার ওই যুবতী প্রসেনজিৎকে জানায় তাকে কাঁথি ছেড়ে চলে যেতে হবে। এরপরই প্রসেনজিৎ সোমবার কাঁথিতে চলে আসেন।

কাঁথি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসেনজিৎ। নিজস্ব চিত্র

কাঁথি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসেনজিৎ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০২:০০
Share: Save:

কাঁথি শহরের থানাপুকুরপাড় এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাস্তা থেকে এক যুবকের অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নামার পর পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। তার ভিত্তিতেই পুলিশের অনুমান প্রেমে ব্যর্থতা ও আর্থিকভাবে প্রতারিত হওয়ার যন্ত্রণায় ওই যুবক ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রসেনজিৎ দাস নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা ওই যুবকের পকেট থেকে পাওয়া পরিচয়পত্রে তাঁর নামধাম জানতে পারে পুলিশ। বছর আঠাশের প্রসেনজিৎ কী ভাবে কাঁথি এলেন আর কেনই বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তা জানতে পুলিশ শুক্রবার হাসপাতালে প্রসেনজিৎ একটু সুস্থ হতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ জানিয়েছে সে একজন ট্রাভেল এজেন্ট। সেই সূত্রে বছর দুয়েক আগে ট্রেনে এক যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয়। ক্রমশ তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ওই যুবতী কাঁথি থানাপুকুরপাড়ের একটি ছাত্রীনিবাসে থাকতো। তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে এর আগে বেশ কয়েকবার কাঁথিতে এসেছিল প্রসেনজিৎ। দুজনের মধ্যে একাধিকবার দেখা সাক্ষাৎও হয়েছে। ছাত্রীনিবাসের মালিককে বাড়ি সারাতে টাকা দেওয়ার জন্য ওই যুবতী তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিল বলে প্রসেনজিতের অভিযোগ।

গত ১৫ জুলাই, রবিবার ওই যুবতী প্রসেনজিৎকে জানায় তাকে কাঁথি ছেড়ে চলে যেতে হবে। এরপরই প্রসেনজিৎ সোমবার কাঁথিতে চলে আসেন। তাঁর দাবি, এখানে আসার পর ফোনে বারবার ওই যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত ওই ছাত্রীনিবাসে যান এবং ছাত্রীনিবাসের মালিকে তাঁর টাকা ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু মালিক তাঁকে গালিগালাজ করে, টাকাও ফেরত দেয়নি। এরপরই অপমানে ও প্রেমিকার আচরণে মানিসক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে তিনি ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করতে যান। পুলিশ জানিয়েছে, প্রসেনজিতের কাছ থেকে সব কথা জানার পর তাঁর মোবাইল ফোন আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে যুবতীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়েছিল তিনি তমলুকের বাসিন্দা। ওই যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, প্রসেনজিৎ মাঝেমধ্যেই সেই যুবতীকে ফোনে বিরক্ত করতো। তা ছাড়া সে বিবাহিত।

তবে প্রসেনজিৎ এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি সুস্থ্ হলে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide attempt Kantai Love Kantai hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE