Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নাম না করে শিক্ষা নিয়ে দিলীপকে বিঁধলেন শুভেন্দু

পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ‘অধিকারী ব্রাদার্স অ্যান্ড সন্স’ কোম্পানি তুলে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:০৫
Share: Save:

রবিবার ময়নায় দলের সমাবেশে এসে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ‘অধিকারী ব্রাদার্স অ্যান্ড সন্স’ কোম্পানি তুলে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেন।

সোমবার তমলুকে তৃণমূলের জনসভায় বক্তৃতায় দিলীপ ঘোষের এই ‘হুমকি’ নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী কোনও মন্তব্য না করলেও তাঁর নাম না করেই শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে কটাক্ষ করলেন। ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশ কর্মসূচির সমর্থনে এ দিন বিকেলে তমলুক শহরের রাজ ময়দান থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত মহামিছিল করে তৃণমূল। মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু। মিছিল শেষে জনসভায় বক্তৃতায় দিলীপ ঘোষের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘১৪ জানুয়ারি ময়নায় বিশাল সমাবেশ হবে। গতকাল ময়নায় একজন লোক এসে বড় বড় কথা বলেছে। আমরা সেই লোকের কথার জবাব দিতে চাই না। কিন্তু জনপ্লাবন ঘটিয়ে বুঝিয়ে দেব এই পূর্ব মেদিনীপুরের মাটি দুর্জয় ঘাঁটি। এটা নন্দীগ্রামের জেলা। এই জেলা মাথা উঁচু করে লড়াই করে। মাথা নিচু করতে জানে না।’’

পরিবহণমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘ধমকে, চমকে আঙুল দেখিয়ে চোখ দেখিয়ে আমাদের ভয় পাওয়ানো যাবে না। যাদের সার্টিফিকেটটা (শংসাপত্র) পর্যন্ত জাল, ভুয়ো সেইসব লোকের জ্ঞান আমরা শুনব না।’’ প্রসঙ্গত, রবিবার ময়নার বিডিও অফিস সংলগ্ন সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই জেলা থেকেই পরিবর্তন হবে। তখন জেলায় ‘অধিকারী ব্রাদার্স অ্যান্ড সন্স’ কোম্পানি তুলে দেব।’’

এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আমরা জানি কেন্দ্রে কোনও একটা দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। আমরা যদি ৪২টি আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দিল্লিতে পাঠাতে পারি, তা হলে একজন বাঙালির হাতে ভারতবর্ষের চাবি থাকবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পাহাড় ও জঙ্গলমহলে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলায় শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন।’’

এদিন মহামিছিলে শুভেন্দুবাবু ছাড়াও ছিলেন নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন ও উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, পুরসভার কাউন্সিলররা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE