দিন পনেরো আগেই দাসপুরের গৌরায় সভা করে গিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূযর্কান্ত মিশ্র। এ বার সেই একই মাঠে, আজ রবিবার সভা করতে আসছেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সভায় লোক ভরাতে ক’দিন ধরেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সভায় হাজির থাকার কড়া বার্তাও দিচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই চাঁইপাট কলেজে ছাত্রভোটে জয় পেয়েছে এসএফআই। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলেরই একটি সূত্রের দাবি, শুভেন্দুর এই সভা সিপিএমের সভার পাল্টাও বটে।
সারা ভারত কৃষক সভার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির ৩৭ তম জেলা সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করেছিল সিপিএম। গত ১০ জানুয়ারি দাসপুরের গৌরায় সেই সভায় মূল বক্তা ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূযর্কান্ত মিশ্র। সভায় ভিড়ও হয়েছিল নজরে পড়ার মতো। আর সেই ভিড়কে টক্কর দিতে পাল্টা সভার পরিকল্পনা করে তৃণমূলও। কিন্তু কোন নেতাকে দিয়ে সভা করানো হবে, সেটা নিয়ে ছিল সংশয়। অবশেষ শুভেন্দুকে দিয়েই সভা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রের খবর, নোট বাতিল, স্বর্ণ শিল্পীদের কাজে ফেরানো, বিজেপি ও সিপিএমের মিথ্যা অপপ্রচার সহ বিভিন্ন দাবিতেই এই সভা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসক দলের এক নেতার কথায়, “মহকুমা কমিটি বলে তৃণমূলের কোনও কমিটি নেই। অথচ, পোস্টারে ঘাটাল মহকুমা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকেই সভার কথা উল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে ঘাটাল ব্লকের সঙ্গে জেলা ও দাসপুর ব্লক নেতৃত্বের মধ্যে জোর লড়াই চলছে।” দলের অন্য সূত্রে খবর, সভার কথা আগে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে জানানো হয়নি। বেজায় চটে সভায় লোক না দেওয়ার ‘হুমকিও’ দিয়েছে শঙ্কর দোলইয়ের অনুগামীরা। সদ্য শেষ হওয়া ঘাটাল উৎসবে শুভেন্দু অধিকারীর আসার কথা থাকলেও না আসায় সভা বয়কটেরও হুমকি দেওয়া হয়। বিতর্কের ইতি টানতে হস্তক্ষেপ করতে হয় জেলা নেতৃত্বকেও
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এই সভা হচ্ছে। দেখভাল করছে দাসপুরের নেতৃত্বরা।” এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতেন চাননি ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy