Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঘোলা জলে সাঁতারে ক্ষোভ

রাজ্যে সাঁতারের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। অভিযোগ, কোথাও আধুনিক পরিকাঠামো থাকলেও ‘লাল ফিতের ফাঁসে’ ব্যবহার করা যায় না। এ বিষয়ে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লর সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন ‘বেঙ্গল অ্যামেচার সাঁতার অ্যাসোসিয়েশন’ (বাসা)-এর সভাপতি রামানুজ মুখোপাধ্যায়।

সাঁতারুদের শুভেচ্ছা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী-সহ বিশিষ্টদের। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

সাঁতারুদের শুভেচ্ছা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী-সহ বিশিষ্টদের। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩০
Share: Save:

রাজ্যে সাঁতারের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। অভিযোগ, কোথাও আধুনিক পরিকাঠামো থাকলেও ‘লাল ফিতের ফাঁসে’ ব্যবহার করা যায় না। এ বিষয়ে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লর সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন ‘বেঙ্গল অ্যামেচার সাঁতার অ্যাসোসিয়েশন’ (বাসা)-এর সভাপতি রামানুজ মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার মেদিনীপুরে রাজ্য স্তরের সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে এসে রামানুজবাবু সাফ জানিয়ে দেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে স্বাধীনতাও জরুরি। নয়তো ক্রীড়া জগতে রাজ্যের উন্নতি অসম্ভব।

শুক্রবার মেদিনীপুর সুইমিং ক্লাবে শুরু হল ‘রাজ্য সিনিয়র সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা-২০১৬’। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক তথা মেদিনীপুর সুই মিং ক্লাবের সভাপতি আশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক দীনেন রায়, প্রদ্যোৎ ঘোষ, আশিস চক্রবর্তী, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ।

এ দিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামানুজবাবু প্রশ্ন তোলেন, অন্যান্য রাজ্য অলিম্পিক্সে একাধিক সাঁতারু পাঠাতে পারলেও এ রাজ্য থেকে দু’জন কেন? উত্তরও দেন তিনি নিজেই? তাঁর কথায়, “পরিকাঠামো নেই। এখনও রাজ্যের সাঁতারুদের ঘোলা জলেই সাঁতার কাটতে হয়। সুভাষ সরোবরে অত্যাধুনিক ডাইভিং বোর্ড রয়েছে। ব্যবহার করতে পারছি না। কারণ, লাল ফিতের বাঁধন থেকে বেরিয়েই আসতে পারছি না!”

সুইমিং পুলের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সাহায্য মেলে। তবে সে জন্য রাজ্যে জাতীয় স্তরের সাঁতার প্রতিযোগিতার করতে হবে। যা এ রাজ্যে হয়নি! রামানুজবাবুর প্রশ্ন, “মণিপুর, অসম, রাঁচির মতো জায়গায় যদি জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা হতে পারে, কেরল যদি চারবার প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারে, এ রাজ্যে হবে না কেন? সেটা হলে ৪৩-৫০ টি ইভেন্ট হবে। সব পরিকাঠামোও গড়ে উঠবে। খরচ দেবে কেন্দ্র।” রাজ্যের মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুরের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে রামানুজবাবুর দাবি, “ক্রীড়া ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা নিয়ে আসুন।”

রাজ্য সরকারের দু’টি সুইমিং পুল রয়েছে। একটি, সুভাষ সরোবর ও অন্যটি লেকটাউন সুইমিং পুল। কিন্তু সুভাষ সরোবরে সারা বছর সাঁতার হয় না। সেখানে দু’টি অত্যাধুনিক ডাইভিং বোর্ড পড়ে থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারেন না সাঁতারুরা। সেখানে ৩৬৫ দিন প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের দাবিও জানান তিনি। তা না হওয়ার জন্যই অলিম্পিক্সে রাজ্য থেকে দু’জনের বেশি সাঁতারু পাঠানো যায়নি বলে অভিযোগ। এমনকি ক্রীড়ামন্ত্রীর সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সব দাবি পৌঁছে দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান রামানুজবাবু।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন,“সব সময় ইতিবাচক ভাবনাচিন্তা করতে হবে। তাহলেই উন্নতি নিশ্চিত। আগামী দিনে অনেক ভাল সুইমিং পুল দেখা যাবে। এ বার হয়তো হল না, আগামী অলিম্পিক্সে এ রাজ্য থেকে আরও বেশি সাঁতারু যোগ দিতে পারবেন বলেই আমার আশা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Swimming
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE