Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
TMC

নেতার দাদা বিজেপিতে, শোরগোল তৃণমূলে

পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষও তিনি। কিন্তু দাদা-ভাই ভিন্ন মত, ভিন্ন দল— এমন উদাহরণ তো ভুরি ভুরি রয়েছে। তা হলে শোরগোলের কারণ কী?

দলবদলের সময়। (ইনসেটে) তৃণমূল নেতার ফেসবুক পোস্ট। নিজস্ব চিত্র

দলবদলের সময়। (ইনসেটে) তৃণমূল নেতার ফেসবুক পোস্ট। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০ ০৪:১৭
Share: Save:

এক আলু ব্যবসায়ী যোগ দিলেন বিজেপিতে। আর এই যোগদান ঘিরেও শোরগোল পড়ল তৃণমূলের অন্দরে।

শোরগোলের কারণ, ওই ব্যবসায়ী রঞ্জন মণ্ডলের ভাই জ্ঞানাঞ্জন মণ্ডল চন্দ্রকোনা রোড ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষও তিনি। কিন্তু দাদা-ভাই ভিন্ন মত, ভিন্ন দল— এমন উদাহরণ তো ভুরি ভুরি রয়েছে। তা হলে শোরগোলের কারণ কী? তৃণমূল সূত্রের খবর, এর অন্দরে রয়েছে দলীয় সমীকরণ। জ্ঞানাঞ্জন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর অনুগামী। উল্টো শিবিরে রয়েছেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। তাই জ্ঞানাঞ্জনের দাদা সোমবার বিজেপিতে যোগ দিতেই বিরুদ্ধ গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে সমাজমাধ্যমে। পোস্ট-পাল্টা পোস্টে আলোড়ন পড়ে শাসক দলের অন্দরে।

জ্ঞানাঞ্জন বিরোধী শিবিরের এক নেতা সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আগেভাগেই দাদাকে সেই দলে পাঠিয়ে মনে হচ্ছে নিজের পথ পরিষ্কার করে রাখলেন কর্মাধ্যক্ষ’। এমনই নানা মন্তব্য দেখে পোস্ট করেন জ্ঞানাঞ্জনও। তিনি লেখেন, ‘দলের অন্তর্কলহের সুযোগ নিয়ে বিজেপি তোমরা আমার পরিবারে দাঙ্গা বাঁধিয়েছো। মনে রেখো তোমাদের দাঙ্গাবাজ রাজনীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামবে না’। অবশ্য কিছুক্ষণ পরে এই পোস্ট তুলেও নেন তিনি।

বিতর্ক রয়েছে রঞ্জনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও। কারণ, তিনি নিজে দাবি করছেন, ‘‘আমি একসময় বিজেপি করতাম, সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সবার সাথে আমিও তৃণমূলে যোগ দিই। কিন্তু এখন তৃণমূলের একাংশ নেতৃত্বের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পুরানো দল বিজেপিতেই ফিরে এলাম।’’ কিন্তু জ্ঞানাঞ্জনের দাবি, তাঁর দাদা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তা হলে দাদা যদি বিজেপিতে যোগ দেন তা হলে তাঁর আপত্তি কোথায়! ‘পরিবারে দাঙ্গা’ প্রসঙ্গ তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন কেন? কেনইবা তা তুলে নিলেন? জ্ঞানাঞ্জনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘দলে তো বিভিন্ন মতাবলম্বী মানুষ রয়েছেন। তাঁদের একাংশের উস্কানিতে সুযোগ নিয়েছে বিজেপি। তাই প্রতিবাদ করেছিলাম। পরে দলেরই নির্দেশে তা প্রত্যাহার করি।’’

ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রাজীব ঘোষ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করে দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।বিজেপির জেলা সহ সভাপতি মদন রুইদাস অবশ্য এসবে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘‘তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু বলব না, তবে তৃণমূলে বীতশ্রদ্ধ হয়ে অনেকেই আসছেন, রঞ্জন মণ্ডলও এসেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Politics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE