ক্যামেরা আছে। কিন্তু তার ধারে কাছে ঘেঁষছে না বাঘ।
তাই গত এক মাসে বাঘের ছবি উঠেছিল একদিনই! খাঁচা আছে। তার আশেপাশে ঘুরছে সে। কিন্তু সাদা শুয়োরের লোভ সংবরণ করছে ডোরাকাটা। তাই বাঘ ধরতে এখন অপেক্ষাই ভরসা বনকর্মীদের।
গত ৩১ জানুয়ারি প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ের জঙ্গলে বড় পায়ের ছাপ মেলে। একাধিক ছাপ দেখে বন দফতর নিশ্চিত ছিল, ছাপটি কোনও হিংস্র প্রাণীর। তবে প্রাণীটি যে বাঘ হতে পারে শুরুতে তা ভাবতেই পারেননি বনকর্তারা। সব দিক খতিয়ে দেখে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়। পরে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ওই ক্যামেরা বসানো হয়। ক্যামেরা বসানো হয় ন’টি জায়গায়। এরমধ্যে ১টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল লালগড়ের কাঁটাপাহাড়ির জঙ্গলখাসের মেলখেরিয়ায়। গত ২ মার্চ ভোরে এই ক্যামেরাতেই প্রথম বাঘের ছবি ওঠে। সবমিলিয়ে চারটে ছবি। এরপর থেকে আর কোনও দিন কোনও ক্যামেরায় বাঘের ছবি আসেনি। ন’টির মধ্যে ছ’টি ক্যামেরা হাতি ভেঙে দিয়েছে। তবে বাকি তিনটিতেও লেন্সবন্দি হয়নি বাঘ।
বাঘ ধরতে পাতা হয়েছে খাঁচা। ছাগলের বদলে খাঁচায় রাখা হয়েছে সাদা শুয়োর। বন দফতরের কর্মীরা নিশ্চিত, ওই খাঁচাগুলির সামনে একাধিক বার যাতায়াত করেছে রয়্যাল বেঙ্গল। কিন্তু ছাগল বা সাদা শুয়োরের লোভে খাঁচায় ঢোকেনি। বন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, বাঘ সতর্ক হয়েই জঙ্গলে ঘুরছে। এড়িয়ে চলছে সব ধরনের ঝুঁকি। তাই কাজ কঠিন হচ্ছে বনকর্মীদের। বাঘ কি ধরা পড়বে না? মেদিনীপুরের এক বনকর্তা বলেন, “আমরা আর একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছি।”
পায়ের ছাপ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শালবনির বিষ্ণুপুরে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এটি বাঘের পায়ের ছাপ। এই দাবি অবশ্য খারিজ করেছে বন দফতর। বন দফতরের দাবি, ওই পায়ের ছাপ বাঘের নয়, কুকুরের। এ নিয়ে অযথা কেউ বা কারা আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “ছাপগুলো খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোনও ছাপই বাঘের পায়ের নয়।” বন দফতরের এক সূত্রের দাবি, চাঁদড়া থেকে লালগড় হয়ে বাঘটি গোয়ালতোড়ের জঙ্গলে গিয়েছে। এখন সেখানেই রয়েছে। বাঘ ধরার সব রকমের চেষ্টা চলছে। গোয়ালতোড়ের একটি হরিণের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy