দখলদারি: দোকানের দরজায় লাগানো তৃণমূলের পতাকা। নিজস্ব চিত্র
আপত্তি সত্ত্বেও একটি দোকানে জোর করে পতাকা লাগিয়ে পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বাধা দেওয়ায় দোকান মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে। সেইসঙ্গে তারা লুঠপাটও চালায় বলে দোকান মালিকের অভিযোগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে এগরার পুরনো বাজারের একটি আলুর দোকানে।
বুধবার সকালে দোকানের মালিক পুরঞ্জন মান্না এগরা ৬ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল সভাপতি উৎপল বর, কৌস্তব দাস, গৌতম বেরা এবং অরিন্দম কর মহাপাত্রের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সূত্রের খবর এগরা পুরনো বাজারে ৩৫ বছরের দোকান রয়েছে আলু-পেঁয়াজের ব্যবসায়ী পুরঞ্জন মান্নার। জেলাপরিষদের কাছে লিজে তিনি ওই জায়গা নিয়েছেন। ৫ বছর অন্তর লিজের পুনর্নবীকরণ করান তিনি। তাঁর দাদা নিরঞ্জন মান্নার ছেলে অশোক ওই জায়গার অধিকার পাওয়ার জন্য মামলা করেন। ১০ বছর আগে মামলায় জিতে যান পুরঞ্জন। তারপরেও তিনি ব্যবসার জন্য ভাইপোকে দুটি ঘর, একটি শৌচাগার দেন ব্যবহারের জন্য। কিন্তু এদিন অশোক ওই দুটি ঘর কাউকে না জানিয়ে এগরা শহর তৃণমূলের পার্টি অফিসের জন্য ভাড়া দেয়। পার্টি অফিস করার জন্য গেটের চাবি এবং লিখিত অনুমতি পত্র দেয় এগরা শহর তৃণমূলর সভাপতিকে।
সভাপতি স্বপন নায়েক জানান, এ দিন অশোক গেটের তালা খুলে দিলে উৎপল বর এবং কৌস্তব দাস সেখানে তৃণমূলের পতাকা। ফেস্টুন লাগিয়ে আসেন। পতাকা লাগানোর কিছুক্ষণ পরে বাড়ির মালিক এবং তাঁর ছেলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ফেস্টুন এবং পতাকা ছিঁড়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। স্থানীয় তৃণমূলের লোকজন গিয়ে কেন এ সব করা হচ্ছে জানতে চাইলে ঝামেলা হয়। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি।
লুঠপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছে উৎপল বর। তিনি জানান, ঘটনার সময় সেখানে থাকলেও তিনি ঝামেলায় জড়াননি। পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা ও সাজানো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy