দু’দলই অভিযোগ করছে, জঙ্গলমহলের স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা হচ্ছে। আর সে জন্য পরস্পরকে দুষে আজ, ১৫ অগস্ট পথে নামছে তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরই।
স্বাধীনতা দিবসে ঝাড়গ্রামে জন সংযোগ কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল। আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় দলের ছাত্র ও যুব কর্মীরা সাইকেলে জাতীয় পতাকা নিয়ে বন্দেমাতরম ধ্বনি দিয়ে এলাকা পরিক্রমা করবেন। শিশুদের চকলেট দেওয়া হবে। জঙ্গলমহলে শান্তি রক্ষার জন্য এলাকাবাসীর কাছে আবেদন জানাবেন দলীয় কর্মীরা। বসে নেই বিজেপিও। তারাও আজ জেলার ৮টি ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচি করবে। কীভাবে তৃণমূল সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা হরণ করছে, পাল্টা প্রচারে সে কথা৩ই জানাবে গেরুয়া শিবির।
আগামী নভেম্বরে ঝাড়গ্রাম পুরভোট। বেহাল পুর পরিষেবা নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে শাসক দলের মধ্যে। গত ৯ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগেই টানা বৃষ্টিতে বানভাসি হয়েছিল ঝাড়গ্রাম শহর। তখন একাংশ বাসিন্দার ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স-এ। চলেছিল ভাঙচুর। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। পাশাপাশি ৯ অগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ছিল, ‘লোকালি’ সমস্যা হলে তিনি তা মেটাতে উদ্যোগী হবেন। সেই মতো দলীয় জনপ্রতিনিধিদেরও নিবিড় জনসংযোগ রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মাওবাদী-পর্বের স্মৃতিও উস্কে দিয়েছেন। এমন আবহে স্বাধীনতা দিবসে তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি যথেষ্ট তাপর্যময় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা-র কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বলেছেন, এলাকায় শান্তি না থাকলে মানুষ ভাল থাকবেন না। ২০০৯-১০ পর্বে জঙ্গলমহলের মানুষ কার্যত পরাধীন ভাবে সন্ত্রাসের বিভীষিকাময় দিন কাটিয়েছেন। পথে নেমে কর্মীরা মানুষকে সেটাই ফের স্মরণ করিয়ে দেবেন। এলাকাবাসীর প্রতি তাঁরা আবেদন জানাবেন, উন্নয়নের সঙ্গে থাকুন। মানুষের সঙ্গে থাকুন।’’ জনসংযোগ কর্মসূচি রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা আর্য ঘোষের কথায়, ‘‘স্বাধীনতা দিবসে একটি ট্যাবলো শহর পরিক্রমা করবে। ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ট্যাবলোর সঙ্গে সাইকেল মিছিল করে বিভিন্ন এলাকায় যাবেন। কোনও রকম প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আবেদন জানানো হবে।’’
অন্য দিকে, বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের পরে আমাদের সাড়ে সাতশো কর্মীর নামে বিভিন্ন সাজানো অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তৃণমূলই জঙ্গলমহলের স্বাধীনতা হরণ করত চাইছে। উদাহরণ দিয়ে সেটাই মানুষকে আমরা জানাবো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy