দেওয়াল লেখা নিয়ে আলোচনাসভার হোর্ডিং। নিজস্ব চিত্র
নেত্রীর নির্দেশ, দেওয়াল লেখার সংস্কৃতি ফেরাতে হবে। নির্দেশ পেয়ে কোমর বাঁধছেন কর্মী-সমর্থকেরা! একটি সভাও ডেকেছে যুব তৃণমূল। যেখানে শুধুমাত্র দেওয়াল লেখা নিয়ে আলোচনা হবে। জেলায় এর আগে শেষ কবে এমন বিষয় নিয়ে দলীয় সভা হয়েছে, মনে করতে পারছেন না তৃণমূলের প্রবীণ নেতারা। এক নেতার মন্তব্য, ‘‘আগে তো নেত্রী এমন নির্দেশও দেননি!’’
সোমবার যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরির ফোন পেয়েছেন সংগঠনের এক ব্লক সভাপতি। পরে তিনি বলছিলেন, ‘‘সাধারণত, সাংগঠনিক সভার আলোচ্যসূচিতে নানা বিষয় থাকে। এ বারের সভায় দেখছি একটি বিষয়ই রাখা হয়েছে। দেওয়াল লেখা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সংগঠনের জেলা সভাপতি ফোন করেছিলেন। কথা হয়েছে। উনিও জানিয়েছেন, এ বারের সভার আলোচ্য বিষয় ওই একটাই।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। শহরের বিদ্যাসাগর হলে এই সভা হবে। বর্ধিত সভায় কাদের আসতে হবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছে। যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতিরা সভায় আসবেন। ব্লক সভাপতি সহ ব্লক কমিটির সদস্যদের কাছেও আমন্ত্রণ পৌঁছেছে।
সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বর্ধিত সাধারণ পরিষদের সভায় ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সভা সফল করার আহ্বান জানান তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বুথে বুথে ব্লক সভাপতিরা মিটিং শুরু করুন। বিধায়কেরা থাকবেন। প্রতি বুথে দেওয়াল লিখতে হবে। দেওয়াল লেখার কালচারটা ফিরিয়ে আনুন। রং করা নতুন দেওয়ালে লিখবেন না।’’ এরপরই নড়েচড়ে বসেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘ব্রিগেডে সভার সমর্থনে দেওয়াল লেখা শুরু হয়েছে। বুথে বুথে দেওয়াল লেখা হবে।’’ যুব কর্মীদের এ নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেই জেলার বর্ধিত সভা ডেকেছে যুব তৃণমূল। দলের এক সূত্রে খবর, বুথপিছু ৩০টি দেওয়াল লেখার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে সভা থেকে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই লেখা শেষ করতে হবে। কাজ ঠিকঠাক হয়েছে কি না, তা দেখতে সরেজমিনে অঞ্চল পরিদর্শনে যাবে জেলার দল।
তৃণমূল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেলার সভার পরে ব্লকে ব্লকে সভা হবে। কোন ব্লকে কবে বর্ধিত সভা হবে তা জেলার সভা থেকেই জানানো হবে। ব্লকের সভায় জেলা নেতৃত্ব থাকবেন। সভা শেষে তাঁরা কোনও একটি অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। বিজেপি এখন থেকেই লোকসভা ভোটের জন্য দেওয়ালের ‘দখল’ নেওয়া শুরু করেছে। সবদিক দেখে এ নিয়ে আর ধীরে চলতে চাইছে না তৃণমূল। যুব তৃণমূলের এক কর্মী বলছিলেন, ‘‘দলের সভা, সমাবেশের সমর্থনে ফ্লেক্স, ফেস্টুন করাই দস্তুর হয়ে উঠছিল। দেওয়াল লেখার কর্মী মিলত না! দিদির নির্দেশে এ বার মনে হয় পুরনো দিনের সংস্কৃতি ফিরতে চলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy