Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি গাছ বিক্রির চেষ্টা, অভিযুক্ত কাউন্সিলরের স্বামী

স্থানীয় সূত্রের খবর, পাঁশকুড়া পুরসভার-১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দলীয় দফতরের পিছনে মেদিনীপুর ক্যানালে সেচ দফতরের বাঁধের পাড়ে বেশ কয়েকটি পুরনো সোনাঝুরি গাছ রয়েছে।

উদ্ধার হওয়া গাছের গুঁড়ি। নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার হওয়া গাছের গুঁড়ি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৫
Share: Save:

সেচ দফতরের এলাকায় থাকা গাছ বেআইনি ভাবে কেটে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠল পাঁশকুড়ার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, পাঁশকুড়া পুরসভার-১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দলীয় দফতরের পিছনে মেদিনীপুর ক্যানালে সেচ দফতরের বাঁধের পাড়ে বেশ কয়েকটি পুরনো সোনাঝুরি গাছ রয়েছে। ওই এলাকাটি সেচ দফতরের আওতায়। দিন তিনেক আগে সেখান কয়েকটি গাছ কাটতে দেখেন এলাকার মানুষজন। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বর্মনের স্বামী রবিন বর্মন দাঁড়িয়ে থেকে গাছ কাটায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গাছগুলি কেটে মেশিন ভ্যানে সিদ্ধার এক কাঠ চেরাই কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দাবি, খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পাঁশকুড়ার এক ক্লাবের কয়েকজন সদস্য। তাঁরা সেই কাঠ নিয়ে ফের ঘটনাস্থলে ফিরে আসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, ‘‘গাছগুলির আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা। কয়েকটি গাছ রবিন বর্মনের নেতৃত্বে কাটা হয়েছিল। আমরা বাধা দিই।’’ এর পরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র এবং ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম খানও সেখানে যান। চেয়ারম্যানের নির্দেশে কেটে ফেলা গাছগুলি নিয়ে আসা হয় পাঁশকুড়া পুরসভায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় তাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে গাছ কেটে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে খোদ কাউন্সিলরের স্বামীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় আপাতত অস্বস্তিতে পাঁশকুড়া পুরসভা। পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র বলেন, ‘‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ তবে দলীয় পদক্ষেপের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন রবিন বর্মন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রবিন বলেন, ‘‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্থানীয় কয়েকজন গাছগুলি কেটেছিল। আমি বরং প্রতিবাদ করেছিলাম।’’

সেচ দফতরের জায়গায় গাছ কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দা তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘ঘটনাটি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযুক্ত যেই হোক না কেন, দোষ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Accuse Councilor TMC Tree
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE