পূর্ত দফতরে দেবাশিস। নিজস্ব চিত্র
সরকারে ক্ষমতাসীন তারাই। সেই সরকারের পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিতে হাজির তৃণমূলেরই এক নেতা। খড়্গপুরের এই ঘটনায় ফের সামনে চলে এল শাসকদলের কোন্দল।
ইন্দা ওটি রোডের সম্প্রসারণ ও সংস্কারে গড়িমসির অভিযোগে মঙ্গলবার ইন্দায় পূর্ত দফতরের অফিসে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন শহরের তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরী। পরে কাজের গতি ফেরানো ও বর্ষায় সাময়িক মেরামতের দাবিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। জানান, ওয়ার্ক অর্ডারের মেয়াদ শেষ হতে মাত্র তিন মাস বাকি। এখনও সিকিভাগ কাজও এগোয়নি। ফলে ভোগান্তি হচ্ছে।
১২০ ফুট চওড়া ওটি রোড এক সময়ে জবরদখলের জেরে ৩০ ফুট হয়েছিল। ২০১৮ সালের গোড়ায় নিউটাউন থেকে পুরাতনবাজার পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের সংস্কার ও চার লেনের করার কাজে নামে পূর্ত দফতর। এ বার লোকসভা নির্বাচনের আগে জবরদখল উচ্ছেদ শুরু হলে দোকানিদের সঙ্গে সংঘাত বাধে, দাবি ওঠে পুনর্বাসনের। পরে পুরসভার মধ্যস্থতায় দোকানিদের একাংশ অন্যত্র সরে যায়। ইন্দায় ভাঙা হয় দু’ধারের দোকান। তবে পুরাতনবাজার এলাকায় চলছে টানাপড়েন। সম্প্রসারণ রয়েছে থমকে।
সেই ভোগান্তি নিয়ে এ দিন তৃণমূলেরই এক নেতা সরব হওয়ায় শোরগোল পড়েছে। দেবাশিস বলেন, “খুব ধীর গতিতে এই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বর্ষা চলে আসায় ইন্দার যে অংশে রাস্তা একেবারে বেহাল, সেখানে যানজট হচ্ছে। এ ভাবে চলতে পারে না।” পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ অফিসার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বর্ষা ভাল ভাবে শুরুর আগেই বেহাল অংশ সাময়িক সংস্কার করে দেব।”
খড়্গপুরে তৃণমূলের বড় কাঁটা কোন্দল। তার ছায়া লোকসভাতেও পড়েছে বলে দলের ময়নাতদন্তে সামনে এসেছে। তাও যে দ্বন্দ্ব মেটেনি এ দিন ফের তার আভাস মিলেছে। তৃণমূলের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলছেন, ‘‘দলের কোর কমিটিতে আলোচনা না করেই বিক্ষোভ হয়েছে।’’ দলের শহর কমিটির সভাপতি রবিশঙ্কর দত্তেরও বক্তব্য, ‘‘এই কর্মসূচি দলীয় ভাবে হয়নি। স্থানীয় দোকানিরা এমন কর্মসূচি করবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেখানে দলের কেউ থাকতে পারেন।’’ দেবাশিসের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সব কিছু কি কোর কমিটিতে আলোচনা হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy