প্রতীকী ছবি।
পুরভোটের ঘোষণা এখনও হয়নি। তবে প্রচার লিখনের জন্য ‘দেওয়াল দখল’ শুরু করে দিল শাসক-দলের যুব সংগঠন।
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরের ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দশটি দেওয়ালে চুন লেপে ‘সাইট ফর টিএমওয়াইসি’ লিখে দেন শহর যুব তৃণমূলের কর্মীরা। ‘দেওয়াল দখলে’র সূচনা করেন ঝাড়গ্রাম শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাহাতো, যুব তৃণমূলের শহর সম্পাদক উজ্জ্বল পাত্রেরা।
শাসকদলের যুব সংগঠনের এমন উদ্যোগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায়ের সঙ্গে শহর যুব সভাপতি অজিত মাহাতোর ‘মধুর’ সম্পর্ক। কয়েকদিন আগেই শহরে মানব-বন্ধন কর্মসূচিতে প্রশান্ত ও অজিতকে শহরের একই রাস্তায় আলাদা ভাবে কর্মসূচি করতে গিয়েছে। কয়েক মাস আগে অজিতের বিরুদ্ধে শহরের একটি নালা তৈরি নিয়ে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে জেলা দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দুর কাছে নালিশ জানিয়েছিল প্রশান্ত-গোষ্ঠী। শহর তৃণমূল ও শহর যুব তৃণমূলের ঠান্ডা-লড়াইয়ে রাশ টানতে বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন জেলা নেতৃত্ব। যদিও এসব গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছে দুই শিবির। সূত্রের খবর, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল আড়াল করতেই বিরোধীদের উপর স্নায়ুর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে শাসক-শিবির। শহর যুব তৃণমূলের সম্পাদক উজ্জ্বল বলেন, ‘‘পুরভোট যে কোনও সময় ঘোষণা হতে পারে। তাই আমরা যতটা সম্ভব বেশি সংখ্যক দেওয়াল দলের জন্য অগ্রিম সংরক্ষিত করার কাজ শুরু করেছি।’’ ব্যক্তিগত ওই সব দেওয়াল সংশ্লিষ্ট মালিকদের অনুমতি নিয়েই ‘সংরক্ষিত’ করা হচ্ছে বলে উজ্জ্বলের দাবি।
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বিরবাহা সরেন বলেন, ‘‘পুরভোটের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দেওয়াল সংরক্ষণ করছেন যুব কর্মীরা। দলের সব স্তরের কর্মীরাই ওই কাজে যুক্ত আছেন। কোথাও কোনও বিরোধ নেই।’’ শাসক দল প্রস্তুতি শুরু করলেও এখনও তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি বিরোধীদের। যদিও বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ওদের আশঙ্কা লোকসভা ভোটের মতো পুরভোটেও অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিজেপি জিতবে। এবং সেটা হবেও। তাই এত আগেভাগে দেওয়াল দখল শুরু করেছে তৃণমূল। আমরা ওদের সঙ্গে ইঁদুর দৌড়ে যাব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy