প্রস্তুতি: এই মাঠেই সভা করবে তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির পাল্টা সভায় মাঠ ভরানোর চ্যালেঞ্জ। প্রস্তুতি চলছে তৃণমূলে। সেই প্রস্তুতিতে ধরা পড়ল কিছু মিল। তবে রয়েছে কিছু অমিলও।
গড় শালবনির মাঠে সভা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আজ, শনিবার একই মাঠে পাল্টা সভা করছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুই সভার মিল দু’টি। প্রথমত, ঝাড়গ্রামের যে ডেকোরেটর্স স্মৃতির সভার মঞ্চ বানিয়েছিলেন, পার্থের সভামঞ্চ তৈরির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, বিজেপির মতোই তৃণমূলের সভামঞ্চ হচ্ছে দু’টি। তবে অমিল, বিজেপির সভামঞ্চ থেকে শাসক দলের মঞ্চের আয়তন হচ্ছে বেশি। ৪০ লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া বড় মঞ্চে বসবেন পার্থ এবং রাজ্য ও জেলার নেতারা। পাশের ৩২ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া ছোট মঞ্চে বিভিন্ন ব্লকের নেতাদের বসার ব্যবস্থা হচ্ছে।
জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে পার্থ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ২ ফেব্রুয়ারি গড়শালবনির মাঠে পাল্টা সভা হবে। তিনি ও শুভেন্দু অধিকারী সভায় আসবেন। শুক্রবার দুপুরে গড়শালবনি মাঠে মণ্ডপ শিল্পীদের নির্দেশ দিতে দিতে তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল দত্ত বললেন, ‘‘মহাসচিব ও রাজ্য নেতারা আসবেন। আমরা বিজেপি-র থেকে চারগুণ বেশি লোক আনব কেবল ঝাড়গ্রাম জেলা থেকেই।’’ উজ্বলের সঙ্গে ছিলেন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ প্রধানও।
স্মৃতির সভায় ভিড় নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। এ দিন গৌরাঙ্গও বলেন, ‘‘বাইরে থেকে অমন লোক এনে মাঠ ভরানোর কোনও কৃতিত্ব নেই।’’ এক ব্লক সভাপতি বলেন, ‘‘আমার ব্লক থেকে কমপক্ষে ৫ হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। ২০টি বাস জোগাড় হয়েছে। বাকিদের ছোট গাড়িতে ও পিকঅ্যাপ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হবে। টার্গেট পূরণ করতে না পারলে খুব চাপ!’’
বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘শাসনক্ষমতায় থেকে যদি আমাদের থেকে বেশি লোক আনতে না পারে, তাহলে সেটা তো তৃণমূলের পক্ষে লজ্জার বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy