প্রতীকী ছবি।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বেলিয়াবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোর্ড গঠন করতে পারল না তৃণমূল। বুধবার ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের একাংশ ও বিজেপির ‘সমঝোতা’র ফলে নির্দল এক সদস্যকে সমর্থন দিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান পদে নির্বাচিত করা হল।
বেলিয়াবেড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা বেলিয়াবেড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কালীপদ সুরের গোষ্ঠীর সঙ্গে হরেন মাহাতোর গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে বেলিয়াবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৮টি। ওই ৮টির মধ্যে ২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন শাসকদলের দু’জন প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী দু’জন হরেনবাবুর গোষ্ঠীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। বাকি ৬ জন কালীপদবাবুর গোষ্ঠীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। বাকি ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসন পায় বিজেপি। একটি আসনে হরেনবাবুরই অনুগামী হিসেবে পরিচিত নির্দল প্রার্থী তপন শীট জয়ী হন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকার কারণ দেখিয়ে এতদিন ওই পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন স্থগিত রেখেছিল প্রশাসন। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের গোষ্ঠী-কাজিয়ার জন্যই প্রধান নির্বাচন আটকে ছিল। বেলিয়াবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনের সভায় হাজির ছিলেন পঞ্চায়েতের ১৩ জন সদস্য। তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে গৌতম খিলাড়ির নাম প্রধান পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়। নির্দল সদস্য তপন শীটের নাম প্রধান পদের জন্য প্রস্তাব করে বিজেপি। এরপরই তৃণমূলের দু’জন সদস্য তপনবাবুকে সমর্থন করেন। ৭-৬ ভোটে প্রধান নির্বচিত হন তপনবাবু। হরেন গোষ্ঠীর রমেশ বাগ উপ প্রধান নির্বাচিত হন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, কালীপদ সুর গোষ্ঠী গৌতম খিলাড়িকে প্রধান করতে চেয়েছিলেন। হরেন মাহাতো গোষ্ঠী রমেশ বাগকে প্রধান করতে চান। ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি হরেন মাহাতোর দাবি, ‘‘কিছুদিন আগেই তপনবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কালীপদ বলছেন, ‘‘নির্দল তপনবাবু তৃণমূলের কেউ নন। নেতৃত্বকে জানাব।’’ বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, ‘‘তৃণমূলে মুষল-পর্ব শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy