প্রতীকী ছবি।
জেলার নির্দেশ ছিল, নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে হবে। সেই মতো ডর্মিটরি তৈরির পরিকল্পনা করেছিল মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতি। তা চালুও হয়েছে। সমিতি সূত্রে খবর, অন্নপ্রাশন থেকে বিয়েবাড়ি— যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে এই ডর্মিটরি ভাড়ায় দেওয়া হবে।
গত বুধবার থেকে এই ডর্মিটরি ভাড়া দেওয়া শুরু হয়েছে। এরফলে, এলাকার মানুষজনও উপকৃত হবেন বলে মনে করছে সমিতি। কারণ, এখন সহজে ডর্মিটরি ভাড়ায় মেলে না। মেদিনীপুরে ডর্মিটরির সংখ্যা কম। ফলে, ডর্মিটরি ভাড়ায় পেতে হলে অনেক আগে থেকে ‘বুক’ করতে হয়।
মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও ফারহানাজ খানম বলেন, “এই ডর্মিটরি চালুর ফলে একদিকে যেমন পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়বে, অন্য দিকে তেমনই এলাকার মানুষও উপকৃত হবেন।” সমিতি সূত্রে খবর, স্বল্পমূল্যেই এটি ভাড়ায় দেওয়া হচ্ছে। সমিতির এক কর্তার কথায়, “মেদিনীপুরের অন্যত্র ডর্মিটরি ভাড়া করতে যে খরচ হয় এখানে তার অর্ধেক হবে।”
মেদিনীপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডর্মিটরিটি প্রায় এক হাজার বর্গফুটের। একাধিক ঘর রয়েছে। রান্নাঘরও রয়েছে। মেদিনীপুর (সদর) ব্লক অফিসের পাশেই এটি তৈরি করা হয়েছে। একতলায় দোকানঘর রয়েছে। দোতলায় ডর্মিটরি রয়েছে। বস্তুত, সরকারি তহবিলের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে জেলার পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলো যাতে নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়ায়, সেই ব্যাপারে জোর দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলার একাধিক বৈঠকেও এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে বাড়তি আয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলো এলাকা উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারে।
জেলার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, “শুধু তহবিল পুষ্ট করলেই হবে না। সেই তহবিল অফিস খরচে বেশি কাজে না লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নে লাগাতে হবে। ব্লকগুলোয় এই পরামর্শই দেওয়া হয়েছে। এও জানানো হয়েছে, কোনও সরকারি প্রকল্পের টাকা ফেলে রাখা যাবে না। দ্রুত খরচ করতে হবে।” পঞ্চায়েত সমিতিগুলো সাধারণত কিছু পুকুর ইজারা দিয়ে টোল ও লেভি আদায় করে কর বহির্ভুত আয় করে। শুধু ডর্মিটরি নয়, মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতি থাকার জন্য আটটি ঘরও তৈরি করেছে। এই ঘরগুলোও ভাড়ায় দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি ঘরে দু’টি করে শয্যা রয়েছে। সমিতির এক কর্তার কথায়, “নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়াতেই এ সব তৈরি করা হয়েছে। ভাড়া পেলে নিশ্চিত ভাবে আয় বাড়বেও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy