বেআইনি: ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি লেন আটকে এ ভাবেই আইন ভেঙে চলছে পার্কিং। সরকারি মহাবিদ্যালয়ের কাছে নিজস্ব চিত্র
খাতায় কলমে চার লেনের রাস্তা। বাস্তবেও তাই। অথচ আস্ত একটি লেনই কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে দখলদারদের দাপটে।
শুধু যানবাহন নয়, হলদিয়ার সরকারি কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীরা রাস্তা ধরে হেঁটে যে সিটি সেন্টার আসবেন তার উপায় নেই। হলদিয়া- মেচেদা চার লেনের ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি লেন গাড়ি পার্কিং-সহ নানা দোকানের কারণে বেদখল হয়ে গিয়েছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিপজ্জনক ভাবে এক লেন দিয়েই চলছে যানবাহন।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগাতেই চলছে দখলদারি। সিটি সেন্টারেই রয়েছে পুলিশের চৌকি। কিন্তু তাদের মদতেই চলছে রাস্তা দখল করে বেআইনি পার্কিং। শুধু পার্কিং নয়, জাতীয় সড়কের ধারে রয়েছে একাধিক লোহা-লক্কড়ের কারবার। সেই সব দোকানের মালপত্তরও নির্দ্ধিধায় রাস্তার উপরে ফেলে রাখা হচ্ছে। আর এ ধরণের ঘটনা দিনের পর দিন ঘটে চলেছে। ফলে লোকজন সড়কের ওই অংশ এড়িয়ে চলায় তা দখলদারদের সাম্রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। নোংরা-অপরিষ্কার হয়ে পড়ে থাকতে থাকতে প্রকাশ্যেই হারিয়ে যেতে বসেছে চার লেনের একটি লেন।
রাস্তা যে বেদখল হয়ে গিয়েছে তা মানছেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে রাস্তা থেকে দখলদার হটিয়ে দিই। কিন্তু ফের আবার একই কায়দায় দখল হয়ে যায়। তবে এভাবে রাস্তা আটকে রাখলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
হলদিয়ার এসডিও পূর্ণেন্দু শেখর নস্কর বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক দখল করে ব্যবসা করা যায় না। আমরা হলদিয়ার বিভিন্ন রাস্তা দখলমুক্ত করতে অভিযান চালাচ্ছি। পুলিশকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে রাস্তা দখলমুক্ত করার জন্য।’’
যদিও জাতীয় সড়ক দখল করে বেআইনি পার্কিংয়ের জন্য উল্টে প্রশাসনের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন হলদিয়া ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গৌতম বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, হলদিয়ায় দশ চাকার ট্রাক রয়েছে প্রায় বারোশো। কিন্তু যে পার্কিং প্লাজাটি রয়েছে সেখানে সাকুল্যে দেড়শোটি ট্রাক থাকতে পারবে। তা হলে বাকি ট্রাক কোথায় থাকবে সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। গৌতমবাবুর অভিযোগ, ‘‘রাস্তায় একাধারে ট্রাক দাঁড় করালে পুলিশ জুলুম করে। তা ছাড়া ছাড়া একাধিক জায়গায় পার্কিংয়ের জন্য বিনা রসিদে টাকা দিতে হয়।’’ ট্রাক মালিকদের যুক্তি, পার্কিংয়ের সুরাহা না হওয়াতেই তাঁরা বাধ্য হন রাস্তায় ট্রাক রাখতে। পুলিশের অত্যাচারে তাঁদেরও ভোগান্তি হয়।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy