গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
ঝাড়খণ্ডের পরে এ বার ওড়িশা। বেআইনি সফটওয়্যার ‘রেড মির্চি’ ব্যবহার ভুয়ো তৎকাল টিকিটের কারবারে আবারও ধরা পড়ল দু’জন!
ওড়িশার জলেশ্বর থেকে ই-টিকিটের কালোবাজারিতে জড়িত দু’জন গ্রেফতার করেছে খড়্গপুর রেলের অপরাধদমন শাখা। শনিবার সন্ধ্যায় ধৃত রেলের ভুয়ো টিকিট এজেন্ট নির্মল পণ্ডিত ও অপারেটর সুশান্তকুমার ডাকুয়া জলেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তৎকাল টিকিটের কারবার চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। খড়্গপুর রেলের অপরাধদমন শাখার সিজিং অফিসার গণেশচন্দ্র মল্লিকের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় জলেশ্বরে। সেই সময়ই নজরে আসে রীতিমতো অফিস খুলে ভুয়ো ই-টিকিটের কারবার চালানো হচ্ছে। কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ঘেঁটে দেখা যায়, আইআরসিটিসি’র ১২০টি ব্যক্তিগত ভুয়ো অ্যাকাউন্ট দিয়ে কারবার চলছিল। বেআইনিভাবে তৎকাল টিকিট হাতিয়ে নিতে ব্যবহার করা হচ্ছিল ‘রেড মির্চি’ সফটওয়্যার। এর পরে ওই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, নজর ২৩ হাজার টাকা, ১০৭টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৬১লক্ষ ৩৭হাজার ৬২৫টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
রেলের অপরাধদমন শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় এক মাস আগে আরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমারের জারি করা নির্দেশের পরেই অভিযানে শুরু হয়। অভিযানের গোড়াতেই রেলের অপরাধদমন শাখার নজরে আসে ‘রেড মির্চি’। আগে থেকেই পূরণ করা ফর্মে নির্দিষ্ট সময়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কাজ করে বেআইনি এই সফটওয়্যার। আর তাতেই রেলের টিকিট কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা তৎকাল টিকিট পাওয়ার আগেই তা হাতিয়ে নেয় ভুয়ো এজেন্টরা। তার পরে চলে কালোবাজারি। ‘রেড মির্চি’র ঝাঁঝ কমাতে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। আর সেই অভিযানেই দেখা গিয়েছে, ‘রেড মির্চি’ ছাড়াও নানা ধরনের বেআইনি সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি চালাচ্ছে ভুয়ো এজেন্টরা। এর আগে ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা থেকে দু’জনকে গ্রেফতারের পরে দেখা যায় তারা ‘স্পার্ক’ নামে অন্য একটি বেআইনি সফটওয়্যার ব্যবহার করছিল। ওড়িশায় অবশ্য ‘রেড মির্চি’-রই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই কারবার রুখতে ভিন্ রাজ্যে এমন অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে খড়্গপুর রেলের অপরাধদমন শাখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy