ফের ব্রাউন সুগােরর হদিস, তমলুকে ধৃত শিক্ষক-সহ ২

জেলা সদর তমলুক শহরের স্কুল-কলেজের পড়ুয়া ও বেকার যুবকদের মাদকাসক্তির ঘটনা নজরে এসেছিল কয়েক মাস আগেই। গত জুলাই মাসে তমলুক শহরের বাসিন্দা রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিক তথা এক অভিভাবক নিজের মাদকাসক্ত ছেলেকে (অনুপম পাইন) পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ওই যুবক সরকারি দফতরের একজন অস্থায়ী কর্মী। ওই ঘটনায় ধরা পড়েছিল আরও এক জন। হেরোইনের নেশায় আসক্ত ধৃত দু’জনের কাছে উদ্ধার হয়েছিল নিষিদ্ধ মাদকের ২৫টি পুরিয়া।

সেই ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেআইনি মাদক রাখার অভিযোগে তমলুক শহর থেকে ফের দুই যুবকের গ্রেফতারের ঘটনা। ধৃতদের একজন দীপেন সাহা পেশায় একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। বাড়ি তমলুক শহরের সংলগ্ন সোনামুই গ্রামে। ধৃত অন্যজন রাজ ভাঙ্গারি তমলুক পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মী। বাড়ি শহরের দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে ব্রাউন সুগারের ২১টি পুরিয়া উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। উদ্ধার হওয়া মাদকের পরিমাণ ৭৮০ মিলিগ্রাম বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের বুধবার তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক শর্তসাপাক্ষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, বেআইনি মাদক খাওয়ার অভিযোগে বছর তিনেক আগেও দীপেন গ্রেফতার হয়েছিল। এ বারও সে ধরা পড়েছে বেআইনি মাদক রাখার অভিযোগে। প্রাখমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য দীপেন নিজেই বেআইনি মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের মাদকাসক্ত করে তোলা-সহ তাদের কাছে মাদক সরবরাহ করত ধৃতেরা। এর জন্য শহরের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় গোপনে মাদকের ঠেক চালানোর অভিযোগও রয়েছে। কয়েক মাসের ব্যবধানে শহরে পর পর বেআইনি মাদকের হদিস ও গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের বিশেষ করে অভিভাবকদের মধ্যে।

দুটি ঘটনাতেই তমলুক শহরের জেলা হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা। শহরের ওই এলাকা জনবহুল। কাছেই রয়েছে জেলা প্রশাসনের সদর দফতর। গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় পুলিশ-প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বেআইনি মাদকের কারবার চলায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নজরদারি নিয়েও।