কাজ থেকে আগেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে কেশিয়াড়ির বেনাডিহাতে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে পথ অবরোধ করেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। পথ অবরোধ ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে কেশিয়াড়ি থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার তারকনাথ দণ্ডপাট ও প্রদীপ দাসকে শুক্রবার গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনায় রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। কোনও কোনও মহলে এও অভিযোগ ওঠে, যে ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার বিজেপির হয়ে প্রচার করায় তাঁদের উপর কোপ পড়ল। যদিও কেশিয়াড়ি ব্লকের বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি সনাতন দোলইয়ের দাবি, ‘‘ওঁরা দলের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত ছিল না। কেশিয়াড়িতে পরিস্থিতি বদলানোর পর ওঁরা নিজেদের আমাদের দলের বলে দাবি করে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা যে কাজ করেছে তা আমরা কোনও ভাবেই সমর্থন করি না। প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছে।’’
গত ২২ মে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তারপর থেকে প্রায় দু’মাস কেটে গিয়েছে। বিভিন্ন মহলে বারবার আবেদন জানালেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে কেশিয়াড়ির বেনাডিহাতে পথ অবরোধ করে তাঁরা। গত ২৫ জুলাই কেশিয়াড়ির বেনাডিহাতে পথ অবরোধ করেন দুই সিভিকের নেতৃত্বে এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের অভিযোগ, অবরোধ তুলতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়া হয়। তাঁদের মারধরও করা হয়। আহত হন কেশিয়াড়ি থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়-সহ পাঁচ জন পুলিশ কর্মী। পাল্টা পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ তুলেছিল এলাকার বাসিন্দারাও। তাতে একজন আহত হয়ে কেশিয়াড়ি হাসপাতালে ভর্তি হন।
ঘটনাস্থলে আসেন খড়্গপুর মহকুমা পুলিশ অধিকর্তা কুন্তল বন্দোপাধ্যায়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ওই দিনেই পুলিশের তরফ থেকে অভিযুক্ত দুই সিভিকের বিরুদ্ধে স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা করে পুলিশ। সে দিন থেকে কেশিয়াড়ি থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় চিকিৎসার জন্য ছুটিতে ছিলেন। গত ২৭ অগস্ট কেশিয়াড়ি থানার দায়িত্বে আসেন আইসি প্রবীর মুখোপাধ্যায়। তারপর শুক্রবার অভিযুক্ত দুই সিভিককে গ্রেফতার করা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy