ভোট ঘোষণার পর তৎপর হয়েছে প্রশাসন। শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি, ধরপাকড়। এমনই নাকা তল্লাশিতে ঘাটালে উদ্ধার হল চন্দন কাঠ। গড়বেতায় পুলিশ গ্রেফতার করল পুরনো মামলায় অভিযুক্তদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘাটাল থানার খড়ার ঘেঁষা পাল পুকুর এলাকায় তল্লাশির সময় পাঁশকুড়া গামী একটি মারুতি গাড়ি থেকে চন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। প্রায় ১৫ কিলোগ্রাম চন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। চালক সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম অরূপ কারক,জয়ন্ত মান, শেখ নুরুল ও শেখ হজরত আলি। বাড়ি গড়বেতা ও পাঁশকুড়া থানা এলাকায়। বুধবার অভিযুক্তদের ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তল্লাশিতে চন্দনকাঠের কোনও বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেনি অভিযুক্তেরা। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, গড়বেতা থেকে চন্দন কাঠ নিয়ে তারা পাঁশকুড়া যাচ্ছিল। এ দিন রাতেই পুলিশ বিষয়টি বন দফতরকে জানায়। খবর পেয়ে ঘাটাল রেঞ্জের বন দফতরের আধিকারিকরা থানায় এসে কাঠ গুলি পরীক্ষা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, কোথা থেকে কী উদ্দেশ্যে কাঠ আনা হচ্ছিল তিয়ে দেখা হচ্ছে।
গড়বেতার বিভিন্ন রাস্তাতেও পুলিশের মোবাইল ভ্যানের টহল শুরু হয়েছে। গড়বেতার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। গড়বেতায় বালি ও মোরাম খাদান নিয়ে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোটের আগে তাই ওইসব খাদানগুলিতে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। চোলাই মদের কারবার রোধে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। মঙ্গলবারই রাতে গড়বেতা থানার পুলিশ পুরানো মামলার ২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে থাকছেন পুলিশকর্মীরা।’’
গড়বেতা ১ ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে নির্বাচনী সেল। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী সরকারি স্থান থেকে সরকারি প্রচার সামগ্রী সরানোর কাজ প্রায় শেষ। বুধবার সকাল থেকেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিডিও জয়দেব তরফদার, যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ ধীবর, গড়বেতা থানার ওসি মদনমোহন রায় সহ প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল ব্লক অফিস চত্বর, হাসপাতাল ক্যাম্পাস, বাসস্ট্যান্ড সহ বিভিন্নস্থানে ঘুরে দেখে প্রচুর সরকারি প্রচার সামগ্রী খুলে দেন। যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ ধীবর বলেন, ‘‘সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করে আদর্শ আচরণ বিধি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। প্রশাসনিক নজরদারি, টহলদারি চলছে, আমরা কিছু ফাঁক রাখছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy