রঙিন: আলোয় সেজেছে মেদিনীপুরের সুজাগঞ্জ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই যেন মণ্ডপের আশেপাশে আলোর সাজ! শহর মেদিনীপুরের চতুর্দিকে এখন আলোর ছড়াছড়ি। এ বার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে চন্দননগরের আলো। শহরের এক পুজোয় এই আলো এসেছে। শহরের কাউন্সিলর সৌমেন খানের কথায়, ‘‘এ বার পুজোর বড় চমক এই আলো!’’
জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে আনন্দে মেতেছে মেদিনীপুর। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে উদ্বোধনপর্ব। বুধবার পুজোর উদ্বোধনে মেদিনীপুরে এসেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার পুজোর উদ্বোধনে শহরে আসার কথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। মেদিনীপুরের বড় পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম কিশোর সঙ্ঘের পুজো। শহরের সঙ্গতবাজার- বড়বাজার রোডের পাহাড়িপুরে এই পুজো হয়। পুজোর হোতা তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি হিমাদ্রি খান। এ বার এই পুজোতেই এসেছে চন্দননগরের আলোকশিল্পী বাবু পালের আলো। হিমাদ্রি বলছিলেন, ‘‘নতুন কিছু করতে চেয়েছিলাম। সেখান থেকেই বাবু পালের আলো আনার ভাবনা। এই আলোর কারসাজি দেখে দর্শকেরা খুশি হচ্ছেন।’’ কাউন্সিলর সৌমেনের কথায়, ‘‘বাবু পালের আলোর কাজ সত্যি দেখার মতো।’’ লোহার খাঁচা দিয়ে বানানো হয় বিভিন্ন মডেল। তাতে থাকে রঙের বন্যা। নীল, লাল, হলুদ, সবুজের সঙ্গে কমলা, বেগুনি।
আলোর সাজ রয়েছে বিবিগঞ্জেও। সেই সাজে ঝলমলে হয়ে উঠেছে চারপাশ। বিবিগঞ্জ সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন হয়েছে বৃহস্পতিবারই। এখানে মণ্ডপের মূল কাঠামোতেই রয়েছে আলোর কারিকুরি। একটা সময় ছিল, যখন পুজোয় আলো দেখতে ভিড় হত এই পুজোতেই। ব্যবহার হত টুনি বাল্ব। এখন এসেছে এলইডি। পুজোর হোতা কাউন্সিলর শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘টুনির মধ্যে একটা অন্য রকম ব্যাপার রয়েছে। আলোর একটা নিজস্বতা রয়েছে। এখন শুধু টুনির আলো মেলা ভার!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy