Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
dowry

পণের দাবিতে ‘অত্যাচার’, থানায় নির্যাতিতা  

নন্দীগ্রামের তেরপেখ্যার অমৃতা রহমানকে পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের চাহিদামতো পণ না দেওয়ায় অমৃতার বাপেরবাড়ি থেকে দেওয়া সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০১:২০
Share: Save:

পণপ্রথার বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়ে গিয়েছেন। এমন একজনকে সাক্ষী রেখে এক দশক আগে বিয়ে হয়েছিল। স্বয়ং মহাশ্বেতা দেবী সম্প্রদান করে গিয়েছিলেন মেয়েকে। কিন্তু সেই মেয়েও পণপ্রথার অভিশাপ থেকে রেহাই পেলেন না।

নন্দীগ্রামের তেরপেখ্যার অমৃতা রহমানকে পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের চাহিদামতো পণ না দেওয়ায় অমৃতার বাপেরবাড়ি থেকে দেওয়া সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। গত ৮ মে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। স্বামী শামসুল আলম খান-সহ শাশুড়ি এবং ভাসুরের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, পণ চাওয়া ও সোনার গয়না ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনেছেন মহিলা।

অমৃতার বাপের বাড়ি সূত্রে খবর, ২০০৯ সালে নন্দীগ্রামের চম্পাইনগরের বাসিন্দা শামসুল আলম খানের সঙ্গে বিয়ে হয় অমৃতার। বিয়েতে সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী-সহ কলকাতার বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী হাজির ছিলেন। বিয়ের পর হলদিয়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন অমৃতা ও তাঁর স্বামী। অমৃতার উপরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পণের দাবিতে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ মহিলার বাপের বাড়ির। মহিলার দাবি, তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আনতে বলা হত। প্রাথমিকভাবে কিছু টাকা দেওয়াও হয়েছিল। তাতে তাঁর বাবা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তাই পরে আর টাকা আনতে তিনি রাজি হননি। অভিযোগ, তার পরেই অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে।
কয়েক বছর আগে দুর্গাচকে মহিলা থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান অমৃতা। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় উভয়ের মধ্যে ঝামেলা মিটে যায়। কিন্তু কিছুদিন পর ফের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংঘাত চরমে ওঠে। গত ৭ মে অমৃতাকে পণের দাবিতে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয় বলে তাঁর বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ। খবর পেয়ে তাঁরা গেলে তাঁদেরও শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। এমনকী বাপের বাড়ি থেকে দেওয়া অমৃতার সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার স্বামী শামসুল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, ‘‘যা অভিযোগ করা হচ্ছে সবই মিথ্যা।’’

অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) জানান, এ ধরনের অভিযোগের কথা জানা ছিল না। তবে খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nandigram Crime Dowry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE