Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঠাকুর দেখাও কি জল ভেঙে!

জোয়ারের সময় এমনিতেই নদীর জল এসে রাস্তা ভাসিয়ে দেয়। নিত্যদিনের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় এলাকাবাসীদের।

জলের তলায় রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

জলের তলায় রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সুতাহাটা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:২১
Share: Save:

জোয়ারের সময় এমনিতেই নদীর জল এসে রাস্তা ভাসিয়ে দেয়। নিত্যদিনের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় এলাকাবাসীদের। পুজোর সময়ও সেই হাঁটু জল ডিঙিয়ে ঠাকুর দেখতে যেতে হবে ভেবে চিন্তিত সুতাহাটার বৈষ্ণবচক, শ্রীধরপুর-সহ আশেপাশের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, হুগলি নদীর একেবারে গা ঘেঁষে গুয়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে বৈষ্ণবচক। দীর্ঘ দিন ধরে ওই গ্রামের যাতায়াতের মূল রাস্তার একটা বড় অংশ নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদী পাড় বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হয়নি। তাই হুগলি নদীর গতি পরিবর্তন হয়েছে। এবং জোয়ারের জলে রাস্তাটি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। রাস্তাটির প্রায় আধ কিলোমিটার এলাকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, স্কুলে যাওয়ার পথে পা পিছলে নদীর জলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা এখানকার রোজ নামচা। বিপদের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, প্রশাসন বা স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যাবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।

রমেন মণ্ডল নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘কুঁকড়াহাটি যাওয়ার মূল রাস্তার হাল গত কয়েক বছর ধরে খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। জোয়ারের সময় অর্ধ বস্ত্র হয়ে পেরোতে হচ্ছে।’’ স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বছর তিনেক আগে রাস্তার উপর থাকা বিদ্যুতের একাধিক খুঁটিও জলের তলায় চলে গিয়েছে।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, ২০০৮ সালে রাস্তার পাশে নদী সংযোগকারী একটি খালের পাড় বাঁধানোর জন্য কিছুটা বোল্ডার ফেলা হয়েছিল। পরে আর কিছু হয়নি। সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু পাত্র বলেন, ‘‘খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা জেলা পরিষদ এবং গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানিয়েছি।’’ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সশেখ সাবিরউদ্দিন বলেন, ‘‘ওই অংশে নদীর পাড় যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাতে মেরামত করা যথেষ্ট ব্যয় স্বাপেক্ষ। তাই এইচডিএ এবং জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। শীঘ্র কাজ শুরু করা হবে।

এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য আনন্দময় অধিকারী বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের এমন সমস্যা নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। জেলা পরিষদের মিটিংয়ে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য জানাব।’’

তবে সেই আবেদনের কবে ফল মিলবে জানানে না গ্রামবাসীরা। সামনেই দুর্গাপুজো। স্থানীয় কুঁকড়াহাটিতে একাধিক ক্লাবে পুজো হয়। হাঁটু জল পেরিয়ে পরিবার নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাবে কেমন করে, আপাতত তা নিয়ে চিন্তিত সকলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Titli Flood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE