পুর- কর্তৃপক্ষ চিঠি লিখে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিতেই ধর্মঘট স্থগিত করে দিল সাফাই মজদুর ইউনিয়ন। পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী ৮ মে সমস্ত স্বীকৃত কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কর্তৃপক্ষ। ইউনিয়নের নেতা তপন মুখোপাধ্যায় বলেন, “চিঠি পাওয়ার পর ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৮ মে পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত থাকবে। বৈঠকে পুর- কর্তৃপক্ষ দাবিপূরণের সুনির্দিষ্ট কোনও আশ্বাস না- দিলে ৯ মে থেকে ফের ধর্মঘট শুরু হবে।” মেদিনীপুরের উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাসের অবশ্য দাবি, “নি:শর্তেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে সাফাই মজদুর ইউনিয়ন।” তাঁর কথায়, “ওদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল। ওরা নি:শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। আমরা ওদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি!”
গত ১৭ এপ্রিল থেকে সাফাই মজদুর ইউনিয়নের ডাকে ধর্মঘট চলছিল মেদিনীপুর শহরে। সাফাই কর্মীরা কাজ না- করায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনার স্তুপ জমতে শুরু করেছিল। দুর্ভোগ দেখা দিচ্ছিল। মজুরি বৃদ্ধি সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে এই আন্দোলন। ইউনিয়নের বক্তব্য ছিল, তারা পুর- কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। আলোচনায় বসে নির্দিষ্ট আশ্বাস দিতে হবে। তারপর ধর্মঘট প্রত্যাহার হতে পারে। অন্যদিকে, পুর- কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আগে ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর আলোচনা হতে পারে। দিন কয়েক ধরে পুরসভার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে সাফাই কর্মীরা অবস্থান করায় পুরসভার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছিল। সোমবারই পুরসভার সভাঘরে পুরবোর্ডের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। অবশ্য তা হয়নি। পুরসভার সভাঘরের বদলে পুরবোর্ডের বৈঠক করতে হয় শহরের এক লজে। পুর- কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরসভার গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই পুরসভায় পুরবোর্ডের বৈঠক করা সম্ভব হয়নি।
গোড়াতেই সাফাই ধর্মঘটকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছিল সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু। পরে কংগ্রেসও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দাবি জানায়। সোমবার পুরবোর্ডের বৈঠকেও প্রসঙ্গটি তোলেন শহর কংগ্রেস সভাপতি তথা কাউন্সিলর সৌমেন খান। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এই পরিস্থিতি বেশি দিন চলতে পারে না। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা উচিত।” পুরসভার এক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সাফাই মজদুর ইউনিয়নকে এক চিঠি দেন পুরপ্রধান প্রণব বসু। চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৮ মে সমস্ত স্বীকৃত কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হবে। এই চিঠি পাওয়ার পরই ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনিয়ন। আচমকা কেন সুর নরম করলেন পুর- কর্তৃপক্ষ? বিশেষত, সোমবার পুরবোর্ডের বৈঠকেও যেখানে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আলোচনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy