সোমবার কাঁথিতে। নিজস্ব চিত্র
মহকুমা কারও করোনা সংক্রমণের খোঁজ মেলেনি। তাতে শর্ত সাপেক্ষে কাঁথি শহরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য দোকান খোলার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছিল মহকুমা প্রশাসন। কিন্তু দোকান খোলার প্রথম দিনেই বাজার এবং রাস্তাঘাটে যে পরিমাণে ভিড়-সহ যানজট দেখা গিয়েছে, তাতে চিন্তা বেড়েছে শহরবাসীর একাংশের।
লকডাউন ঘোষণার প্রায় দেড় মাস বাদে সোমবার খুলেছে কাঁথি শহরের দোকানপাট। সেই তালিকায় রয়েছে মোবাইল, জামাকাপড়, ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র ইত্যাদি। শহরের ভিতরের রাস্তায় পুরনো ছন্দে দাপিয়ে বেড়িয়েছে টোটো এবং মোটরবাইক। শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে সাতসকালেই অনেকের দোকান খুলে দিয়েছিল। এর ফলে সকাল থেকেই শহরের রাজাবাজার থেকে পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন পুরসভার নিযুক্ত কর্মীরা। ক্যানাল পাড়, জুনপুট বাসস্ট্যান্ড মোড়, রসুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহরে ঢোকার মুখে ব্যারিকেড তৈরি করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন পুরসভা নিযুক্ত কর্মীরা।
তবে পুরকর্মীর যতই চেষ্টা করুন না কেন, সপ্তাহের প্রথম দিনের ভিড় উপচে পড়ে রাস্তায়। ভিড় দেখা গিয়েছে অরবিন্দ স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত আনাজ বাজারে। দুপুর পর্যন্ত শহরের প্রতিটি রাস্তায় আশেপাশের গ্রামীণ এলাকা থেকেও লোক এসে ভিড় জমায়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মহকুমা প্রশাসনের তরফে জরুরি সভার পরে কাছে শহরকে খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, দোকানের ন্যূনতম কর্মচারী রাখা এবং জমায়েত না করে সামগ্রী বিক্রি করার কথা সেদিন বলা হয়েছিল। কিন্তু এ দিন সেই সব নিয়মের সিকি ভাগও চোখে পড়েনি।
এভাবে নিয়ম ভেঙে ভিড় উপচে পড়া প্রসঙ্গে কাঁথির মহকুমাশাসক এবং এসডিপিও’কে ফোন করা হয়েছিল। তাঁরা কেউই ফোন ধরেননি। তবে কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্রনাথ জানা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে শর্ত সাপেক্ষে দোকান খোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। কাউন্সিলরের নেতৃত্বে একটি নজরদারি টিম পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গোটা শহর এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। সেরকম কোথাও জমায়েতের অভিযোগ নজরে আসেনি।’’
তবে প্রশাসন যাই বলুক, ভিড় দেখে শহরবাসীর একাংশের বক্তব্য, ‘শর্ত সাপেক্ষে দোকান খোলার অনুমতি মিলেছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের এখনও বিলুপ্তি হয়নি। সুতরাং সচেতনতা সকলের নিজের হাতে’!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy