প্রতীকী ছবি।
বাজ পড়ে ট্রান্সফর্মার বিকল। তিন সপ্তাহ বিদ্যুৎহীন আদিবাসী গ্রাম।
গড়বেতা ২ ব্লকের জিরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জঙ্গল ঘেরা ছোট্ট গ্রাম বনকানালি। গ্রাম না বলে পাড়া বলাই ভাল। কেননা গ্রামে থাকে ৩০ টির মতো পরিবার। সকলেই সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। খেটে খাওয়া এই পরিবারগুলি প্রায় সবাই বিপিএল তালিকাভুক্ত। বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রামের বাসিন্দারা পড়েছেন প্রচণ্ড অসুবিধায়। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার স্থানীয় অফিসে তাঁরা এই অসুবিধার কথা জানিয়েছেন। জানানো হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতেও। কাজ হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে বন্ধ গ্রামের সজলধারা প্রকল্প। লম্ফ -লণ্ঠনের আলোয় পড়তে হচ্ছে গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের।
গ্রামবাসীরা জানালেন, সপ্তাহ তিনেক আগে বাজ পড়ে গ্রামের একমাত্র ট্রান্সফর্মারটি বিকল হয়ে যায়। ১৬ কেভির এই ট্রান্সফর্মার থেকে গ্রামের দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হত। সেটি বিকল হয়ে যাওয়ায় আঁধারে ডুবেছে বনকানালি গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দা ভানু সরেন সহ কয়েকজন বলেন, ‘‘ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়েছি। গ্রামের অনেকেরই বিদ্যুতের বিল বাকি আছে। আমরা গ্রামে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বকেয়া বিল মেটাতে উদ্যোগী হচ্ছি। বিদ্যুৎ না থাকায় খুব অসুবিধা হচ্ছে।’’
বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ গ্রামের সজলধারা প্রকল্প। বাধ্য হয়ে আদিবাসী পরিবারগুলিকে পানীয় জল আনতে হচ্ছে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে মাঠের শ্যালো থেকে। ছেলেমেয়েরা মোবাইল চার্জ দিতে পাশের গ্রাম কুন্দরিশোলে যাচ্ছেন। বিদ্যুৎহীন গ্রামের কথা জানেন না স্থানীয় জিরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান লক্ষ্মীমণি হেমব্রম। তিনি বলেন, ‘‘আমি এই কয়েকদিন দায়িত্ব পেয়েছি। ওই গ্রামে ট্রান্সফর্মার বিকলের খবর জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ গড়বেতা ২ ব্লকের বিডিও স্বপনকুমার দেব বলেন, ‘‘গ্রামে শীঘ্রই নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হবে।" বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চন্দ্রকোনা রোড অফিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই গ্রামে ট্রান্সফরমার বিকল আছে। সেখানে এক ফেজের লাইন ছিল। এবার তিন ফেজের ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মার বসানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy