Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

রাস্তায় কেন বালি, জেলাশাসকের সামনে নালিশ

 মূল সড়ক হোক বা গ্রামীণ রাস্তা। ছবিটা প্রায় সব জায়গায় এক। ঘাটাল-দাসপুর জুড়ে দেখা যায়, রাস্তা দখল করেই রাখা হয়েছে ইমারতি দ্রব্য। যেমন, দাসপুর-২ ব্লকের গৌরা-পঞ্চাননতলা এবং ফরিদপুর-জোতঘনশ্যাম রাস্তার বেশিরভাগটা অংশেই প়ড়ে রয়েছে ইট-বালি-স্টোনচিপস।

নিশ্চিন্দিপুরে ‘দুয়ারে প্রশাসন’। নিজস্ব চিত্র

নিশ্চিন্দিপুরে ‘দুয়ারে প্রশাসন’। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাসপুর শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:১০
Share: Save:

রাস্তা জুড়ে প়ড়ে থাকে ইমারতি দ্রব্য। এমনকী, থাকেও নানা সরঞ্জামও। জেলাশাসককে কাছে পেয়ে এ নিয়েই অভিযোগ জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার দাসপুর-২ ব্লকের নিশ্চিন্দিপুর পঞ্চায়েতের আদমপুর মাঠে ‘আপনার দুয়ারে প্রশাসন’ আয়োজন করে ব্লক প্রশাসন। ওই শিবিরে হাজির হয়েছিলেন পশ্চিমের জেলা শাসক পি মোহনগাঁধী। সেখানেই নানা সুবিধা-অসুবিধার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্য, সরঞ্জাম ফেলে রাখার প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই সমবেতভাবে জেলাশাসককে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। জেলাশাসক বলেন, “গ্রামের মানুষ সমস্যার কথা আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’’

মূল সড়ক হোক বা গ্রামীণ রাস্তা। ছবিটা প্রায় সব জায়গায় এক। ঘাটাল-দাসপুর জুড়ে দেখা যায়, রাস্তা দখল করেই রাখা হয়েছে ইমারতি দ্রব্য। যেমন, দাসপুর-২ ব্লকের গৌরা-পঞ্চাননতলা এবং ফরিদপুর-জোতঘনশ্যাম রাস্তার বেশিরভাগটা অংশেই প়ড়ে রয়েছে ইট-বালি-স্টোনচিপস। ব্যবসায়ীরা রাস্তার ধারেই ইমারতি দ্রব্য ফেলে জমা রাখছেন। রাস্তা থেকেই বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম বিক্রি করছেন তাঁরা। এর জেরে অতীতে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, বারবার নালিশ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তবে ভুক্তভোগীদের আশা, খোদ জেলাশাসক যখন নিজের কানে সমস্যার কথা শুনেছেন, তখন কিছু একটা হবেই।

শুধু ইমারতি দ্রব্য নয়, দুয়ারে প্রশাসনে অনেকে অভিযোগ করেন, তাঁরা একশো দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না। বার্ধক্য এবং বিধবা ভাতা নিয়েও অভিযোগ করেন অনেকে। এলাকায় মানসিক প্রতিবন্ধীদের শংসাপত্র প্রদানের জন্য শিবির করার দাবিও উঠে। মানবিক প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত, সমর্থন প্রকল্পে টাকা সহ নানা দাবি-দাওয়া জানানো হয়। অনেকেই জানান, আধার কার্ডের সংযোগ না হওয়ায় ব্যাঙ্কে হয়রানি হতে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের আর্জিও জানানো হয়। এলাকার রেশন দোকানের নানা সমস্যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

শিবিরে হাজির ছিলেন বিডিও অনিবার্ণ সাহু, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা দোলই, সহ-সভাপতি আশিস হুতাইত, জেলা পরিষদের সদস্য কল্পনা শাসমল-সহ অন্যরা। বিডিও বলেন, “দুয়ারে প্রশাসনে বেশকিছু অভিযোগ-অনুযোগ এসেছে। রাস্তায় ইমারতি সরঞ্জাম যাতে না পড়ে তার ব্যবস্থা করতে পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি সব সমস্যার খতিয়ে সমাধান করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Complaint District Magistrate Construction Material
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE