প্রতিবাদে সামিল পড়ুয়ারাও।
নাবালিকা মেয়েকে দেড় বছর আগে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বাবা। সেই মামলায় বুধবার তমলুক আদালতে সাক্ষ্য দিলেন বাবা। দাবি করলেন, অভিযুক্তের ফাঁসির।
তমলুকের চিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী ২০১৮ সালের ৩০ মে বাড়ির অদূরে আমবাগানে গিয়েছিল। তার পরে আর ফেরেনি। ২ জুন একটি খড়ি বাগান থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা শেখ হামিদুলকে হাওড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে ওই মামলার শুনানি চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয়) লোকেশ পাঠকের এজলাসে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ দিন সেখানেই নাবালিকার বাবার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তার আগে অভিযুক্তকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ওই নাবালিকার বাবা বলেন, ‘‘দিল্লিতে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির সাজা হয়েছে। আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাতেও দোষীর ফাঁসি চাই।’’
চিয়াড়ার মামলা প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী সুতপা সামন্ত বলেন, ‘‘মামলায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। মোট ১৯ জন সাক্ষী রয়েছেন। ওই নাবালিকার মামা আগে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ দিন বাবা সাক্ষ্য দিলেন।’’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তেলঙ্গনায় পশু চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনার চার অভিযুক্তকে পুলিশ এনকাউন্টারে গুলি করে মেরেছে। এর পরেই অন্য সব ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত দোষীদের চরম সাজার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। চিয়াড়া-কাণ্ডে এ দিন আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা। তাঁরাও এই মামলায় ফাঁসির দাবি করেন। সংস্থার সদস্য দেবশ্রী মাইতি, পুতুল সিংহ ও জিতু ভাঙ্গারি বলেন, ‘‘চিয়াড়া গ্রামে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy