নিহত সঞ্জয় বর। নিজস্ব চিত্র
এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার রানিচক এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্জয় বর (২৫)। বাড়ি দাসপুর থানার ভগবতীপুরে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম অনুপম পাল। আরেক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অনুপমের মা শেফালি পাল স্থানীয় কামালপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা। তিনি বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানতাম না। ঘটনাটি খুব দুঃখজনক।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকালে রানিচক লাগোয়া ফাঁকা মাঠে সঞ্জয়ের গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনা জানাজানি হতে এলাকার বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। দাসপুর থানার পুলিশ এলাকায় যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বছর তেইশের অনুপমকে গ্রেফতার করে ফেলে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সঞ্জয় এবং অনুপম দু’জনই অবিবাহিত। তাঁরা পরস্পরের বন্ধু ছিলেন। সঞ্জয় আগে ভিনরাজ্যে সোনার কাজে যুক্ত ছিলেন। বছরখানেক আগে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। এখন শেয়ার বাজারের কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর পরামর্শেই শেয়ার বাজারে কমবেশি ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ধৃত অনুপম। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরেও সেই টাকা ফেরত পায়নি সে। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। সম্ভবত টাকা ফেরত না পেয়েই নিজের বন্ধুকে খুন করেছে অনুপম, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। জেরায় অনুপমও দাবি করেছে, কয়েকদিন আগেই সঞ্জয় জানায় যে ওই টাকা ফেরত দিতে পারবে না। তারপরেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। শেখ রাজু নামে এক ঠিকা শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুপম। রাজুর বাড়ি মুর্শিদাবােদ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, শনিবার রাতে পরিকল্পনামাফিক রানিচক লাগোয়া ফাঁকা মাঠে মদ্যপানের জন্য সঞ্জয়কে ডেকেছিল অনুপম। যদিও সে নিজে মদ্যপান করে না। তাঁর সঙ্গে ছিল রাজু। সঞ্জয় বাইকে করে নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে চলে যান। তিনি নেশাগ্রস্ত হলে নতুন চপার ও মদের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে অনুপম। গলার নলি কেটে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy