হলদিয়ায় আইএনটিটিইউসি-র মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ও রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে ধিক্কার মিছিল করল আইএনটিটিইউসি। শুক্রবার বিকালে হলদিয়ার দুর্গাচকে ওই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন হলদিয়ার শ্রমিক নেতা মিলন মণ্ডল, তৃণমূল নেতা সাধন জানা প্রমুখ। দুর্গাচকের মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। ওই মিছিল ক্লোরাইড (এক্সাইড) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গেট পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। মিছিল শেষে ধিক্কার সভা করার কথা ছিল।
কিন্তু, দুর্গাচক থানার ওসি এবং সিআই মহিষাদল দুর্গাচকের সিপিটি মার্কেটে রেলওয়ে ক্রসিংয়ের কাছে মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে আইনশ্ৃঙ্খলার কারণ তুলে আইএনটিটিইউসি নেতাদের অনুরোধ করেন, “আপনারা আর এগোবেন না।” পুলিশের অনুরোধে মিছিল আর এগোয়নি। তবে, মিছিলের লোকজন এক্সাইডের গেটের কাছে না গেলেও ১৪৪ ধারার জারি থাকা সত্ত্বেও এক্সাইড কারখানার কিছু কর্মী আইএনটিটিইউসি-র ব্যানারে সভা করেন বলে পুলিশের দাবি।
আইএনটিটিইউসি নেতা মিলন মণ্ডল ১৪৪ ধারা অমান্য করে কোনও সভার কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “ওখানে আগে থেকে একটি মঞ্চ করা ছিল। সেখানে কে কী করেছে, তা জানা নেই। আমরা পুলিশের অনুরোধের মিছিল সংক্ষিপ্ত করেছি। সভাও করিন।” ১৪৪ ধারা জারি হল কেন? মিলনের দাবি, “সেটা কারখানা কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে।” বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দেখা করতে চায়নি।
কারখানার এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নির্বাচনে সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক গোলক দাস, সভাপতি শক্তিপ্রসাদ মাজী বলেন, “এই কারখানায় রাজনৈতিক ভাবে কোনও ইউনিয়ন নেই। কিন্তু আমরা কারখানার বাইরে যেহেতু তৃণমূল করি, তাই আইএনটিটিইউসি-র ব্যানারে সভা ও মিছিল করার কথা ছিল। কিন্তু, ম্যানেজমেন্টের চক্রান্তে এ দিন হঠাৎ করে পুলিশ প্রশাসন কারখানার গেটে ১৪৪ ধারা জারি করে। ফলে মিছিলও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তবে আগে থেকেই মঞ্চ বাধা হয়ে গিয়েছিল, তাই কারখানার কর্মীদের সামনে দু’চার কথা বলা হয়েছে।”
ওই কারখানার গেটে শুক্রবার ১৪৪ ধারার জারির নোটিস সাঁটে পুলিশ। নোটিশে লেখা, ‘কারখানা গেটের কাছে অনেক লোক জড়ো হতে পারে। আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা ভেবে দুপুর দু’টো থেকে কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।’ পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার অমিত ভরত রাঠোর কারখানা কতৃর্পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতেই ১৪৪ ধারা হয়েছিল। তা অমান্য করে সভা হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy