Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অমিত শাহকে দিতে বুথ-ভিত্তিক কর্মী-তালিকা বানাচ্ছে বিজেপি

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বুথ-ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছে বিজেপি। শুরু হয়েছে বুথরক্ষী বাহিনী তৈরির কাজ। জেলায় জেলায় বুথ-পিছু দু’জন করে সক্রিয় কর্মীর নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেই তালিকা জেলা সভাপতিরা দেবেন খোদ অমিত শাহকে।

বরুণ দে
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২২
Share: Save:

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বুথ-ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছে বিজেপি। শুরু হয়েছে বুথরক্ষী বাহিনী তৈরির কাজ। জেলায় জেলায় বুথ-পিছু দু’জন করে সক্রিয় কর্মীর নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেই তালিকা জেলা সভাপতিরা দেবেন খোদ অমিত শাহকে।

আগামী ২০ জানুয়ারি বর্ধমানে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ওই দিন প্রকাশ্য সমাবেশের আগে দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর, তখনই তাঁকে বুথ কর্মীদের তালিকা দেওয়া হবে। মেদিনীপুরে বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ে কম্পিউটার আনিয়ে ডাটা-এন্ট্রি শুরু হয়েছে। শুধু বুথভিত্তিক কর্মীর নাম নয়, তাঁর মোবাইল নম্বরও তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।

বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো জেলার সর্বত্র বুথ-ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছি। বুথ-পিছু দু’জন করে কর্মীর নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি বর্ধমানে অমিত শাহের কাছে এই তালিকা দিয়ে দেবো।” কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই নির্দেশে নীচুতলায় দল চাঙ্গা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় বিজেপি-র কার্যত কোনও সংগঠন তেমন মজবুত ছিল না। গত লোকসভা ভোটের পরে অবশ্য ছবিটা বদলেছে। ওই ভোটে জেলায় ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরেই তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার বেশি। খড়্গপুর সদর বিধানসভা এলাকায় তো ‘লিড’ পেয়েছে বিজেপি। গত ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভাতেও প্রচুর ভিড় হয়েছিল। তা দেখে অমিত শাহকে মেদিনীপুরে এনে সভা করানোরও প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বিজেপি-র পালে যখন হাওয়া, তখন দলকে শৃঙ্খলায় বাঁধারও চেষ্টা করছেন দলীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারই দলের মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে এক বৈঠকে তুষারবাবু বলেছেন, “নতুন কাউকে দলে নিতে হলে আগে জেলায় জানাতেই হবে। আমরা দলে কোনও বেনোজল ঢুকতে দেবো না।” দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদে থাকার অধিকার নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। জেলা সভাপতির এই বার্তা অবশ্য মণ্ডল সভাপতিদের কাছে নতুন কিছু নয়। কারণ, গত কয়েক মাসে যে রাজ্য নেতাই জেলায় এসেছেন, তাঁরাই বলে গিয়েছেন, দলে বেনোজল ঢুকতে শুরু করলে যে লোকসভার সাফল্য আগামী দিনে ধরে রাখা কঠিন। বিজেপি-র এক জেলা নেতার কথায়, “সংগঠন বৃদ্ধির সময়ে বেনোজল ঢুকেই। একে আটকানোও কঠিন। তবু যতটা সম্ভব চেষ্টা চলছে।” বিজেপি-র জেলা সভাপতি তুষারবাবু জানান, প্রচুর মানুষ দলে আসতে চাইছেন। নানা ভাবে যোগাযোগও করছেন। তবে তাঁদের দলে ঠাঁই দেওয়ার আগে ভাবমূর্তি যাচাই করা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে দেড় লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সদস্য সংগ্রহ চলবে। জেলা নেতৃত্বের দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুরে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। তবে আপাতত তাঁরা ব্যস্ত বুথ-পিছু দু’জন কর্মীর নামের তালিকা তৈরিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

barun dey medinipur amit shah bjp
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE