এবিজি-র ছেড়ে যাওয়া ২ এবং ৮ নম্বর বার্থের জন্য দরপত্র দিল সাতটি সংস্থা। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) অমলকুমার দত্ত সোমবার জানান, গত জানুয়ারিতে দরপত্র চাওয়া হয়েছিল। জাহাজ থেকে বার্থে এবং বার্থ থেকে বন্দরের বাইরে পণ্য নিয়ে যেতে চারটি ও তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। সংস্থাগুলির কাগজপত্র খতিয়ে দেখে মার্চের মধ্যেই তাদের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
তবে ফরাসি সংস্থা এবিজি এ বার আর দরপত্র দেয়নি। বন্দর সূত্রের খবর, ৭ জানুয়ারি কলকাতায় কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এবিজি-র ফেলে যাওয়া বার্থ দু’টিতে দ্রুত পণ্য খালাস শুরুর নির্দেশ দেন। এবিজি-র সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে তাদের হলদিয়ায় ফেরানোর ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। কিন্তু তার পরেও এবিজি কেন দরপত্র দিল না, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি বন্দরের কর্তারা।
বন্দর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০-এ ওই দুই বার্থে কাজের বরাত পেয়েছিল স্বয়ংক্রিয় পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি। তার দু’বছরের মাথায়, ২০১২-র অক্টোবরে তারা বন্দর ছাড়ে। কাজ হারান প্রায় সাড়ে ছ’শো শ্রমিক। তৃণমূল নেতৃত্বের চাপে বাড়তি শ্রমিক নিয়োগ করে লোকসান হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল এবিজির। পরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবিজি কর্তাদের অপহরণের অভিযোগও ওঠে। তৃণমূল নেতৃত্ব তা মানেননি। এর পরই সংস্থাটি বন্দর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আড়াই বছরে দু’টি বার্থের কাজের বরাত দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ তিন বার দরপত্র চান। কিন্তু, ফলপ্রসূ হয়নি। নতুন করে দরপত্র জমা পড়ায় খুশি কাজহারারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, “এবিজি যাওয়ার পর কাজ পাইনি। এ বার হয়তো শিকে ছিঁড়বে।” বন্দরের আইএনটিটিইউসি নেতা শ্যামল আদকের দাবি, “এবিজি-র ৯০% কর্মীকে বন্দরে কাজ দেওয়া হয়েছে। নতুন কাজের সুযোগ হলে বাকিদেরও কাজ দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy