ভরিয়ে ফেলা এই পুকুর নিয়েই সমস্যা। —নিজস্ব চিত্র।
কোলাঘাট শহরের পুরাতন বাজারের কাছে একটি জলাশয় ভরাটের ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি সমর্থকরা। বুধবার সকালে কোলাঘাট স্টেশনের কাছে কয়েকশো বিজেপি সমর্থক জড়ো হয়ে শহরের রাস্তায় মিছিল করেন। এরপর মিছিল আসে পুরাতন বাজারের কাছে পাইকপাড়িতে বিডিও অফিসে। বিজেপি’র তরফে এক প্রতিনিধি দল বিডিও’এর সঙ্গে দেখা করে শহরের পুরাতন বাজারের কাছে ওই জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট শহরের বাসিন্দাদের কাছে পীরপুকুর নামে পরিচিত প্রায় ৭৮ ডেসিমল আয়তনের ওই বিরাট জলাশয়টির উপর এলাকার অনেক পরিবার নির্ভরশীল। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন ওই গুরুত্বপূর্ণ জলাশয়টি সম্প্রতি সেচ দফতর প্রায় ২১ লক্ষ টাকা খরচ করে ভরাট করেছে। এ দিন মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস ও কোলাঘাটের বিজেপি নেতা উজ্জ্বল ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “এলাকার বিশাল ওই জলাশয় ভরাটের কাজে স্থানীয় বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা জড়িত। ওই জলাশয়টি ভরাট হওয়ার পাশাপাশি তা ফের এক ব্যক্তি কিনে নিয়েছে। এই কেনাবেচার সময় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন বিধায়ক বিপ্লববাবু নিজে।” বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ব্যক্তি মালিকানায় থাকা ওই জলাশয় ভরাটের জন্য সেচ দফতর ২০ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা খরচ করল কীভাবে?
কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “রূপনারায়ণ নদী সংলগ্ন ওই জলাশয়ের কাছে নদীবাঁধ দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। নদীবাঁধ রক্ষার জন্যই সেচ দফতর ওই জলাশয় ভরাটের পরিকল্পনা নিয়েছিল। এজন্য জনস্বার্থেই জেলা প্রশাসন ওই এলাকায় নদীবাঁধ সংলগ্ন জলাশয় ভরাট করার জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিল।” সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “জলাশয় ভরাটের রে ওই জমির আগের মালিকরা অন্য এক ব্যক্তিকে তাঁদের জায়গা বিক্রি করেছেন। এলাকার বাসিন্দা হিসেবে আমি সাক্ষী হিসেবে থেকেছি। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy