আগামী বিধানসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে সদস্য সংগ্রহে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেই অভিযান ঘিরেই খড়্গপুরে হাতাহাতি বাধল দলীয় কর্মীদের মধ্যে। তবে এ ধরনের ঘটনা যে বরদাস্ত করা হবে না, ঘটনায় জড়িত তিন নেতা-কর্মীকে তড়িঘড়ি বহিষ্কার করে সেই বার্তা দিয়েছেন দলের জেলা নেতৃত্ব।
শুক্রবার সকালে খড়্গপুরের খরিদায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তুতি চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে জখম হন বিজেপি কর্মী চন্দ্রশেখর পাল। দলের ওয়ার্ড সভাপতি বলবন্ত সিংহ, শহর সম্পাদক তাপস সাহা ও দলীয় কর্মী কাল্লু সিংহের নামে পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের খড়্গপুর শহর সভাপতি প্রেমচাঁদ ঝা অভিযুক্ত তিন জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তুষারবাবু বলেন, “দলে থেকে অনুশাসন না মানা বরদাস্ত করা হবে না।” দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও জানান, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। শীর্ষ নেতৃত্বের বারবার হস্তক্ষেপেও কোনও কাজ হয়নি। তাই কোন্দলে রাশ টানতে বিজেপি নেতৃত্বের কড়া পদক্ষেপ ইতিবাচক বলে মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের ব্যাখ্যা, গত লোকসভা ভোটে খড়্গপুর সদর বিধানসভায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। এ বছরে পুরভোটের আগে ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বিজেপি নেতৃত্ব দ্রুত পদক্ষেপ করেছেন।
বিজেপি-অন্দরের খবর, দলের জেলা সভাপতি তুষারবাবুর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে শহর সভাপতি প্রেমচাঁদের অনুগামীদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। হাতাহাতির পিছনে গোষ্ঠী-কোন্দল রয়েছে, এ কথা অবশ্য মানতে নারাজ প্রেমচাঁদ। তাঁর বক্তব্য, “এটা ব্যক্তিগত বিরোধের জের বলে মনে হচ্ছে। এর পিছনে তৃণমূলের হাতও থাকতে পারে।” খড়্গপুর শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীর পাল্টা কটাক্ষ, “ফোনে মিসড্ কল দিয়ে যে দলে সদস্য হওয়া যায়, সেখানে ভবিষ্যতে এমন আরও বেশি ঘটবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy