২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে ‘অপারেশন পশ্চিমবঙ্গ’ হাতে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। এই পরিস্থিতিতে জেলায় এসে দলের কর্মীদের এক রকম সতর্কবার্তাই দিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, “একটা কথা মনে রাখবেন, বাংলায় এক অদ্ভুত হাওয়া উঠেছে। হাওয়াকে কাজে লাগাতে গেলে পাল তুলতে হয়। এই পাল তোলার কাজটা আপনাদের। কারণ, বাংলায় এখন একটাই কথা— সব মানুষের একমত, বিজেপিই ভবিষ্যৎ।”
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন তথা যুব দিবস উপলক্ষে সোমবার বিজেপির মেদিনীপুর শহর কমিটি আয়োজিত আলোচনাসভায় এসেছিলেন জয়প্রকাশবাবু। সভায় বিবেকানন্দের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি উপস্থিত নেতা- কর্মীদের আরও ভাল ভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগলে হবে না। সঠিক সময় সঠিক কাজ করতে হবে। বিজেপির এই রাজ্য নেতার কথায়, “তৃণমূলের লোকেরাই বলছে, সময়টা ভাল নয়। মানুষ দলে দলে বিজেপিতে আসছেন। কেন? আসছেন শান্তির জন্য। ভুল স্বীকার করতে হবে। তবেই তো আমরা এগোতে পারব।” জয়প্রকাশবাবুর মতে, “মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলছেন, কেউ কি চান তাঁর ছেলেমেয়ে সেই ভাষায় কথা বলুক?”
এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবলু বরম, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভজিৎ রায়, মহিলা নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য, দলের শহর সভাপতি অরূপ দাস প্রমুখ। সভায় তৃণমূলের সমালোচনা করেন সকলেই। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষারবাবু বলেন, “পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে প্রমাণ লোপাট করে দিচ্ছে। জোর করে লাঠি দিয়ে গুন্ডা দিয়ে বিজেপির আন্দোলনকে রোখা যাবে না। যুব সমাজ বিজেপির পাশে আছে।” পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, “আমাদের দল সিপিএম, তৃণমূলের মতো নয়। আমাদের সকলকে রাজনৈতিক ভাবে শিক্ষিত হতে হবে। মানুষ আমাদের উপর নজর রাখছেন।” তুষারবাবুর কথায়, “২০১১ সালে আপনারা পরিবর্তন চেয়েছিলেন। আমরাও পরিবর্তন চেয়েছিলাম। মানুষ পরিত্রাণ চেয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছরে কী হল? সর্বত্র দলতন্ত্র। মানুষ ধরেই নিয়েছেন এই মুহূর্তে প্রকৃত বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপিই। আগামী দিনে মানুষই শেষ কথা বলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy