আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে একই দিনে। নির্বাচন হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। এ বার সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও জারি হল। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় দুই ক্ষেত্রেই মনোনয়নপর্ব শুরু হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে। কলেজের ক্ষেত্রে মনোনয়নপর্ব চলবে ১৬ এবং ১৭ জানুয়ারি, এই দু’দিন। দু’দিনই মনোনয়নপর্ব তোলা এবং জমা দেওয়া যাবে। অন্য দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে মনোনয়নপর্ব চলবে ১৬ থেকে ২১ জানুয়ারি, এই পাঁচদিন (একদিন ছুটি রয়েছে)। অবশ্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে শেষ দু’দিনে অর্থাৎ ২০ এবং ২১ জানুয়ারি। শুক্রবারই জারি হয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সুষ্ঠু ভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরপরই নির্বাচনের প্রস্তুতিতে মাঠে নেমে পড়েছে সবক’টি ছাত্র সংগঠন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে এটা আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ বার গোড়ায় ছাত্রভোটের সম্ভাব্য দিন হিসেবে দু’টি দিন নিয়ে আলোচনা হয়। এই দু’টি দিন হল ২৮ এবং ২৯ জানুয়ারি। পরে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে একই দিনে। নির্বাচন হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, “৩১ জানুয়ারির মধ্যে ছাত্রভোট করতে হত। এদিকে, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে পরপর কয়েকটি ছুটি রয়েছে। তাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন এই মাসের শেষের দিকে করানো ছাড়া উপায় ছিল না।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গেল বারের মতো এ বারও অনলাইন প্রক্রিয়া চালু থাকবে। তবে তা আংশিক। অনলাইনে শুধু মনোনয়নপত্র তোলাই যাবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে গিয়ে তা জমা দিতে হবে প্রার্থীকেই। প্রত্যাহারের ক্ষেত্রেও প্রার্থীকে উপস্থিত থাকতে হবে। কলেজের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে আগামী ১৪ জানুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন করিয়ে অনভিপ্রেত ঘটনা কতটা কমানো যায়, সেটাই এখন দেখার।
এ দিকে এ দিনই কলেজ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করার দাবিতে পথসভা করল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও এআইএসএফ। শুক্রবার দুপুরে খড়্গপুর কলেজের গেটের বাইরে ওই পথসভায় রাজ্য জুড়ে কলেজ নির্বাচনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। ছিলেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা-সহ অন্য নেতৃত্ব।
গত বছর এই ছাত্র নির্বাচন ঘিরে মনোনয়নপত্র পুকুরে ফেলা দেওয়া, ছাত্রীদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া, অ্যাডমিট কার্ডে কারচুপি করে মনোনয়ন পেশের মতো অভিযোগ তুলেছিল এসএফআই। একাধিক অশান্তিতে নাম জড়িয়েছিল টিএমসিপি-র। তাই আসন্ন কলেজ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার দাবি তোলা হয় এ দিনের সভায়।
এসএফআইয়ের শহর জোনাল সম্পাদক রাজীব মণ্ডল বলেন, “গত বছর টিএমসিপি যে ভাবে অশান্তির ছড়িয়ে ছাত্র সংসদ দখল করেছিল তা অগণতান্ত্রিক। এ বার তাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটদানের ব্যবস্থা করার দাবি রাখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy