টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া সত্ত্বেও মিটার বাজেয়াপ্ত করছে বিদ্যুৎ দফতর-এমনই অভিযোগ তুলে বিদ্যুৎ দফতরে গ্রাহকদের নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের মালঞ্চ লালবাংলোর কাছে বিদ্যুতের সাব স্টেশন বন্ধ করে তৃণমূল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ গিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলে বিদ্যুৎ দফতরের অফিস খুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বিদ্যুৎ দফতরে টাকা জমা দেন শহরের সুভাষপল্লি, ভবানীপুর, শ্রীকৃষ্ণপুর, খরিদা, মালঞ্চ-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এরপরই গ্রাহকদের সংযোগ দেয় বিদ্যুৎ দফতর। অবশ্য এখন বিদ্যুৎ বন্টন দফতর বেসরকারিকরণ হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে ওই সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। সেই সুযোগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মের বেড়াজাল টপকে বাড়িতে মিটার-সহ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে চলে আসছে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ঠিকাদারদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দফতরে ঠিকাদার মারফত সংযোগের টাকা জমা না পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মামলা রুজু করে দফতর।
এমনই প্রতারণার শিকার শহরের শ্রীকৃষ্ণপুরের চন্দনেশ্বর ও পদ্মপুকুরের কৌশিক দাস। তাঁদের বাড়িতে ছ’মাস ধরে মিটার-সহ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পরও বিল আসেনি। তখন তাঁরা যোগাযোগ করেন বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে। সম্প্রতি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে আসে বিদ্যুৎ বন্টন দফতর। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বৃহস্পতিবার খড়্গপুর টাউন থানায় মামলা রুজু করে জরিমানারও দাবি করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, শুধু এই দুজনই নন, আরও অনেকে এমন প্রতারণার শিকার। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ।
বিদ্যুৎ দফতরের সাব স্টেশন ম্যানেজার ইলা কোলে বলেন, “ওই বিদ্যুৎ সংযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাহকরা অফিসে টাকা জমা দেননি। তাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” কিন্তু গ্রাহকদের প্রশ্ন, অফিসে টাকা জমা না পড়লেও কীভাবে অফিসের বরাদ্দকৃত মিটার বাড়িতে বসানো হল? ইলাদেবী জানিয়েছেন, সেই ঘটনার তদন্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy