Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বেলপাহাড়িতে পর্যটক টানতে উদ্যোগী বিডিও

খাঁদারানি জলাধারে পরিযায়ী রং-বেরঙের পাখির কলতান! কানাইসর পাহাড়ের অপার নৈসর্গিক সৌন্দর্য কিংবা গাডরাসিনি পাহাড়ে উঠে প্রকৃতিকে আবিষ্কারের আনন্দ! বেলপাহাড়ির চেনা-অচেনা দর্শনীয় স্থানগুলি সম্পর্কে সোস্যাল মিডিয়া-র মাধ্যমে পর্যটকদের আগ্রহী করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন বিডিও ও তাঁর সহকর্মীরা।

ওয়েবসাইটে প্রচার।—নিজস্ব চিত্র।

ওয়েবসাইটে প্রচার।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৫ ০০:২১
Share: Save:

খাঁদারানি জলাধারে পরিযায়ী রং-বেরঙের পাখির কলতান! কানাইসর পাহাড়ের অপার নৈসর্গিক সৌন্দর্য কিংবা গাডরাসিনি পাহাড়ে উঠে প্রকৃতিকে আবিষ্কারের আনন্দ!

বেলপাহাড়ির চেনা-অচেনা দর্শনীয় স্থানগুলি সম্পর্কে সোস্যাল মিডিয়া-র মাধ্যমে পর্যটকদের আগ্রহী করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন বিডিও ও তাঁর সহকর্মীরা। ‘বেলপাহাড়ি: অনাবিষ্কৃত সৌন্দর্য’ শীর্ষক ইংরেজিতে বারো পাতার রঙিন পুস্তিকাটির বিষয়বস্তু লিখেছেন স্বয়ং বেলপাহাড়ির বিডিও সর্বোদয় সাহা। বেলপাহাড়িকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত দর্শনীয় জায়গাগুলি রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে পুস্তিকায়। বেলপাহাড়ির দর্শনীয় জায়গাগুলির ছবি তুলেছেন ব্লকের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মানস কর্মকার। পুস্তিকাটির অঙ্গসজ্জার ভাবনায় রয়েছেন ব্লক ইনফরমেটিক্স অফিসার সৌমেন দাস। গত ২৮ জানুয়ারি ফেসবুকে পুস্তিকাটি পোস্ট করা হয়েছে।

হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন?

বেলপাহাড়ির বিডিও সর্বোদয় সাহা-র বক্তব্য, “বছর খানেক ধরে বেলপাহাড়িতে ফের পর্যটকরা আসা শুরু করেছেন। কিন্তু বাইরে থেকে আসা যাঁরা আসছেন, তাঁদের অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না, কোথায় যাবেন, কী-কী দেখবেন। পর্যটকদের মুস্কিল আসান করার জন্যই এটা করে ফেললাম। ওই সব এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন। বাসিন্দাদের বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরি হতে পারে।” বিডিও-র কথায়, “বর্তমান যুগে সোস্যাল মিডিয়া-র মতো জনপ্রিয় মাধ্যমকে অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই ফেসবুক-এ বারো পাতার পর্যটন-পুস্তিকা পোস্ট করেছি। বিনপুর-২(বেলপাহাড়ি) ব্লকের নিজস্ব ওয়েব সাইটেও পুস্তিকাটি দেখা যাবে।”

পুস্তিকাটি প্রশাসনিক মহলে প্রশংসিত হওয়ার পরে সামান্য কিছু অবশ্য ছাপানো হয়েছে। ছাপানো পুস্তিকাগুলি বিভিন্ন ব্লকের বিডিও, পর্যটন সংস্থা ও সরকারি অতিথিশালা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বেলপাহাড়িতে পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্যও উদ্যোগী হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পুরনো অতিথিশালাটিকে সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বিডিও জানান, তিনটি ঘরে মোট দশজন থাকতে পারবেন। প্রতি ঘর পিছু দৈনিক ভাড়া পাঁচশো টাকা। পর্যটকরা বিডিও অফিস প্রাঙ্গণের সুলভ কান্টিনে দু’বেলা খাওয়া দাওয়া সারতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

belpahari jhargram bdo tourist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE