আধার কার্ডের মেশিনপত্র চুরি করে নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। চুরি গিয়েছে ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার প্রভৃতি। রবিবার রাতে শালবনি থানার কাশীজোড়ার বেঁউচ্যায় একটি প্রাথমিক স্কুলে ওই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত এই অভিযোগে কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি মেশিনপত্রও। মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত বলেন, “রবিবার বেঁউচ্যায় কিছু মেশিনপত্র চুরি গিয়েছে।”
ঘটনাটি ঠিক কী? আধার নম্বরের ভিত্তিতে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির ব্যবস্থা চালু করেছিল কেন্দ্রের পূর্বতন ইউপিএ সরকার। পরে নানা সমস্যার জেরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ফের আধার কার্ড তৈরির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী শিবির হচ্ছে। শালবনির বিভিন্ন এলাকাতেও একটি সংস্থা অস্থায়ী শিবির করে এই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। কোন এলাকায় কবে শিবির হবে, তা আগে থেকে জানানো হয়। সেই মতো গ্রামবাসীরা শিবিরে যান।
আধার কার্ড তৈরির জন্য গ্রামবাসীদের ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ নিতেই এই শিবির হয়। কাশীজোড়ার বেঁউচ্যাতেও এমন একটি শিবির চলছিল। স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের দু’টি ঘরের একটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মীরা থাকতেন। অন্য একটি ঘরে ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার প্রভৃতি প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র থাকত। স্থ রবিবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী ওই প্রাথমিক স্কুলে হানা দেয়। কর্মীরা যে ঘরটিতে ছিলেন, তার দরজায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অন্য ঘরের দরজা ভেঙে মেশিনপত্র চুরি করে নিয়ে পালায় তারা। পালানোর আগে স্কুলের দেওয়ালে সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে লেখা একটি পোস্টারও সাঁটিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। যে কাগজে লেখা ছিল, ‘এখানে আধার কার্ড হবে না’। নীচে লেখা ‘কমিউনিস্ট পার্টি’।
স্থানীয়দের অনুমান, তদন্ত গুলিয়ে দিতেই দুষ্কৃতীরা এমন পোস্টার সাঁটিয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। যে সংস্থা এই এলাকায় শিবিরের দায়িত্বে রয়েছে, সেই সংস্থার পক্ষ থেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy