Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সক্রিয় প্রশাসন, ১০ দিনেই মিলল চেক

ভেলোরের শিনগার্দ শহরের চামড়ার কারখানায় দেওয়াল ভেঙে বিষাক্ত জলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত চন্দ্রকোনার চালতাবাঁদি গ্রামের ছ’শ্রমিককে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার। এবং, মাত্র দশেকের মধ্যেই সেই ক্ষতিপূরণ পর্ব মিটল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, “মঙ্গলবার চন্দ্রকোনায় মৃতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই গড়বেতার বলরামপুরের মৃতদের পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হবে।”

ব্লক অফিসে চেক বিলি।—নিজস্ব চিত্র।

ব্লক অফিসে চেক বিলি।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৪৫
Share: Save:

ভেলোরের শিনগার্দ শহরের চামড়ার কারখানায় দেওয়াল ভেঙে বিষাক্ত জলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত চন্দ্রকোনার চালতাবাঁদি গ্রামের ছ’শ্রমিককে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার। এবং, মাত্র দশেকের মধ্যেই সেই ক্ষতিপূরণ পর্ব মিটল।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, “মঙ্গলবার চন্দ্রকোনায় মৃতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই গড়বেতার বলরামপুরের মৃতদের পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হবে।” যাঁদের বাড়ি প্রয়োজন, নিখরচায় তাঁদের বাড়ি তৈরিও দ্রুত করে দেওয়া হবে বলছেন জেলাশাসক। তিনি আরও বলেন, “তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গেও কথা চলছে। যাতে দু’পক্ষ থেকেই আরও ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া যায়।”

গত ৩০ জানুয়ারি তামিলনাড়ুর ভেলোরের ওই দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। তাতে এ রাজ্যের ৯ শ্রমিক রয়েছেন। মৃতেরা সবাই গড়বেতার ও চন্দ্রকোনার বাসিন্দা। তা জেনে ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তরফে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার ব্লক প্রশাসনের অফিস থেকে ওই চেক বিলি করা হয়। এ দিন চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতের চালতাবাঁদি থেকে এসেছিলেন জেনেখা বিবি। দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামী হাবিব খান ও দুই ছেলে আলি আকবর খান এবং আলি আসগর খান মারা গিয়েছেন। বিডিও অফিসে চেক হাতে নিয়ে কোনও রকমে তিনি বলেন, “আমার সব শেষ হয়ে গিয়েছে। যত দিন বাঁচব, চেকই ভরসা।” স্বজনহারানো পরিবারগুলিই নয়, গ্রামে এখনও শোকের পরিবেশ রয়েছে। প্রশাসনের সক্রিয়তায় দ্রুত চেক মেলায় সকলেই খুশি। এ দিন স্বজনহারা পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে গ্রামের শতাধিক পুরুষ, মহিলা বিডিও অফিসে এসেছিলেন।

এ দিন চেক নেন এশিয়ান খান এবং আক্রম আলি খানের পরিবারও। চেক নিয়ে বিডিও অফিসেই জ্ঞান হারান তাঁদের বাবা সুকুর আলি খান। সঙ্গে সঙ্গেই পড়শিরা অবশ্য পরিস্থিতি সামলে নেন। অন্য দিকে, একই সঙ্গে দুই ছেলের মধ্যে একমাত্র রোজগেরে ছেলে পিয়ার আলি খানকে হারিয়ে কার্যত দিশেহারা জৈয়নবারা বিবির। চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের বিডিও সুরজিত্‌ ভড় বলেন, “এ দিন হাতে মোট বারো লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE