Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

অন্যের জমিতে অবৈধ ভাবে পাকা নির্মাণ গড়ে তুলতে গ্রামবাসীদের একাংশকে উত্‌সাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার জের আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। জমির মালিক প্রবীরচন্দ্র শীল জানান, তাঁদের জমির পাশে কোনও নির্মাণ ছিল না। তিনি বলেন, “এখন শুনতে পারছি ওখানে ক্লাব হবে। আবার শুনছি সেখানে নতুন এক নির্মাণও হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:২৮
Share: Save:

অন্যের জমিতে অবৈধ ভাবে পাকা নির্মাণ গড়ে তুলতে গ্রামবাসীদের একাংশকে উত্‌সাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার জের আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। জমির মালিক প্রবীরচন্দ্র শীল জানান, তাঁদের জমির পাশে কোনও নির্মাণ ছিল না। তিনি বলেন, “এখন শুনতে পারছি ওখানে ক্লাব হবে। আবার শুনছি সেখানে নতুন এক নির্মাণও হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে।”

এ দিকে, যাঁর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ, হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। আমি বা আমার দলের কেউ ওই নির্মাণ গড়ায় উত্‌সাহ দিইনি।” কল্যাণীর এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “খবর পাওয়া মাত্র আমরা গিয়ে ওই নির্মাণ তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।”

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীরবাবুরা চার ভাই। হরিণঘাটার সিমহাট নারিকেলবাগান এলাকায় তাঁদের সাড়ে তিন বিঘা জমি রয়েছে। অভিযোগ, গত সেপ্টেম্বর থেকে সেই জমির প্রাচীর ঘেঁষে অবৈধ ভাবে ২৪ ফুট লম্বা এবং ৮ ফুট চাওড়া একটি নির্মাণ শুরু হয়েছে। তারজন্য জমির প্রাচীর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি গাছও কেটে দেওয়া হয়েছে। জমিতে ফসল বুনতে গেলে বীজ ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি বার বার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধও করে দেয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তেমনিই অভিযোগ প্রবীরবাবুর। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ না মেনে নির্মাণ তৈরির কাজ চলছে বলে তিনি জানান। তাঁর কথায়, “নির্মাণটি গ্রামবাসীরা শুরু করলেও দিলীপবাবু তাঁদের মদত দিচ্ছেন। তাই গ্রামবাসীরা ওই কাজে উত্‌সাহ পাচ্ছেন।” দিলীপবাবুর অবশ্য দাবি, “গ্রামবাসীরা নিজেরাই ওই নির্মাণ গড়ে তুলছেন। আমার মদত দেওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না।”

অন্য দিকে, গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, প্রবীরবাবুদের জমির উপর কোনও নির্মাণ গড়া হচ্ছে না। রাস্তার পাশে সকলেই চাঁদা দিয়ে ওই নির্মাণ গড়ছেন। তাই প্রবীরবাবুদের বাধা দেওয়ার কোনও কারণ নেই। স্থানীয় বাসিন্দা রেখা ও সুমন সাহা বলেন, “ওই নির্মাণ তো রাতারাতি গড়ে ওঠেনি। নির্মাণের ভিত দেওয়ার সময় যখন মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল তখনও ওই পরিবারের সদস্যরা তা দেখে গিয়েছেন। এখন আপত্তি তুলছেন।”

হরিণঘাটার বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

illegal construction tmc leader ranaghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE