উদ্ধার হওয়ার পর। নিজস্ব চিত্র
কখনও নিতান্তই বাজারের থলে কখনও বা বস্তা বন্দি হয়ে সীমান্ত উজিয়ে তাদের চোরা চালান চলছিল। মাস খানেক আগে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে রাতের টহলদারি পুলিশও তল্লাশিতেও উদ্ধার করেছিল কয়েকশো কচ্ছপ। তা বলে সতেরোশো?
বুধবার রাতে, চাকদহের ধনিচায় উদ্ধার হল সতেরোশো সফ্ট সেল টার্টেল। সিআইডি জানায়, আগাম খবর পেয়ে জাতীয় সড়কের উপরেই ফাঁদ পেতেছিল তারা। লরি থামাতে দেখা যায়, বিস্কুটের ট্রাক। তবে, তল্লাশি শুরু করতেই বেরিয়ে পড়ে, নোনতা বিস্কুটের সঙ্গেই রয়েছে প্রায় সতেরোশো কচ্ছপ। উদ্ধারের পর, আপাতত তাদের ঠিকানা বেথুয়াডহরির অভয়ারণ্য।
এই ঘটনায় পুলিশ লরির চালক, উত্তরপ্রদেশের মইনপুরির বেঞ্চে লাল এবং বনগাঁর অভিজিৎ কুণ্ডু ও উত্তম সরকারকে গ্রেফতার করেছে। বনগাঁ এবং আশপাশের এলাকায় বিক্রির জন্য কচ্ছপগুলি উত্তরপ্রদেশ থেকে আনা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
বন দফতর জানিয়েছে, এর আগে এত বিপুল সংখ্যক কচ্ছপ জেলায় বাজেয়াপ্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
বনগাঁ, ঠাকুরনগর, গাইঘাটা, হাবরা, অশোকনগর-সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় খোলা বাজারেই বিক্রি হয় কচ্ছপের মাংস। কেজি প্রতি দাম ৪০০-৬০০ টাকা। এই এলাকায় কচ্ছপের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কচ্ছপ আমদানি করে স্থানীয় বাজারে পাচারের কারবার করে।
সিআইডি-র এক কর্তা বলেন, ‘‘দিন কয়েক ধরেই খবর পাচ্ছিলাম। উত্তর প্রদেশ থেকে রওনা হয়ে গিয়েছে কচ্ছপগুলি। বুধবার, আচমকাই খবর আসে, বৃহস্পতিবার রাতেই ট্রাক ঢুকবে বনগাঁয়। সেই মতো সিআইডি-র দলটি ওই সড়কে অপেক্ষায় ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy