Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

পরিচ্ছন্নতায় জোর, পুরস্কৃত ১৯ হাসপাতাল

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলছেন, “এই সাফল্যে আমরা খুশি। অন্য হাসপাতালগুলিও যাতে পুরস্কার পায় সে জন্য নানা পদক্ষেপ করছি।”

পরিচ্ছন্নতার জন্য নদিয়ার ১৯ হাসপাতালকে পুরস্কৃত করল স্বাস্থ্য দফতর।

পরিচ্ছন্নতার জন্য নদিয়ার ১৯ হাসপাতালকে পুরস্কৃত করল স্বাস্থ্য দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০২:০২
Share: Save:

জেলার ১৯টি হাসপাতালকে পুরস্কৃত করল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মোট ছয়টি বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে ‘কায়াকল্প’ পুরস্কার দেয় কেন্দ্র। রাজ্য অবশ্য সেই প্রকল্পের নাম দিয়েছে ‘সুশ্রী’।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল, নবদ্বীপ ও শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, তেহট্ট ২ ব্লকের প্রীতিময়ী গ্রামীণ হাসপাতাল, করিমপুর ২ ব্লকের নতিডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল, বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল, ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রানাঘাট ২ ব্লকের যাদবদত্ত গ্রামীণ হাসপাতাল, কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল, বিষ্ণুপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এই পুরস্কার পেয়েছে। পুরস্কার জিতেছে মীরা, দেবগ্রাম, পানিঘাটা, শিকারপুর, বার্নিয়া, বানপুর ও বিরহি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এদের মধ্যে জেলায় প্রথম হয়েছে দেবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলছেন, “এই সাফল্যে আমরা খুশি। অন্য হাসপাতালগুলিও যাতে পুরস্কার পায় সে জন্য নানা পদক্ষেপ করছি।”

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও হাসপাতালকে পুরস্কৃত করার আগে পরিকাঠামো, নিকাশি ব্যবস্থা, জল সরবরাহ, পানীয় জলের গুণগত মান, বর্জ্য সংগ্রহ ও নিষ্কাশন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, সাপোর্ট সার্ভিস অর্থাৎ আসবাব, রান্নাঘর, বিছানার চাদর-পোশাকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত কর্মী সংখ্যার পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসা থেকে শুরু করে নার্স ও অন্য কর্মীদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে কি না সেটা দেখা হয়। দেখা হয় পরিচয়পত্র ও প্রত্যেকে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক পরেছেন কি না। তিনটি ধাপে বিচার করা হয়। প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল নিজেরাই নিজেদের নম্বর দেয়। সে ক্ষেত্রে যারা ৭০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পায় তার মূল্যায়ন করতে আসে অন্য ব্লক হাসপাতাল। আর মহকুমা হাসপাতালের ক্ষেত্রে অন্য মহকুমা হাসপাতাল। তাদের কাছে যদি ৭০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পায় তা হলে অন্য জেলার হাসপাতাল থেকে আসে মূল্যায়ন করতে। সে ক্ষেত্রে যদি ৭০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পায় তা হলেই সেই হাসপাতালের নাম ‘স্টেট নমিনেশন কমিটি’র কাছে পাঠানো হয়। একই ভাবে জেলা হাসপাতালের ক্ষেত্রেও অন্য জেলা হাসপাতাল আসে মূল্যায়ন করতে।

পরীক্ষায় অবশ্য অকৃতকার্য হয়েছে খোদ জেলা হাসপাতাল। দশমিক নয় (.৯) নম্বরের জন্য পুরস্কার হাত ছাড়া হয়েছে তার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকাঠামো, বর্জ্য সংগ্রহ ও নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে কম নম্বর পাওয়ায় এ বার পুরস্কার হাত ছাড়া হয়েছে।

হাসপাতাল সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার বলছেন, “যে ক্ষেত্রগুলোতে আমরা সামান্য পিছিয়ে আছি সেগুলোর ফাঁকফোঁকর চিহ্নিত করে আমরা ঠিক করে নেব। সেই মতো পদক্ষেপও করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE