একটি টুকটুককে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে গেল যাত্রিবাহী একটি বেসরকারি বাস। এই ঘটনায় আহত হন বাসের চালক-সহ ২০ জন যাত্রী। বুধবার সকালে ফরাক্কার এনটিপিসি মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। বাসের চালক এবং এক যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্য়াল কলেজে পাঠানো হয়েছে। অন্য জমমেরা স্থানীয় বেনিগ্রাম ব্রক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। বেসরকারি বাসটি কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের গঙ্গারামপুরে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসের খালাসি বাপ্পা দাস জানান, বাসটি রাত্রে ধর্মতলা থেকে ছেড়ে ভোর ৫টা নাগাদ ফরাক্কার আগে এনটিপিসি মোড়ে পৌঁছয়। সেখান থেকে ছেড়ে বাসটি যখন ফরাক্কার দিকে য়াচ্ছিল, সেই সময় আচমকা একটি টুকটুক বাসের সামনে এসে পড়ে। টুকটুকটি জাতীয় সড়ক পার হচ্ছিল। তাতে দু’জন যাত্রী ছিলেন। সেই সময় বাসের গতি বেশ বেশিই ছিল। ফলে আচমকা টুকটুকটি বাসের সামনে এসে পড়ায় তাঁকে বাঁচানোর জন্য চালক বাসটিকে ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু গতি বেশি থাকায় তিনি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। সেখানে রাস্তার ধারে উল্টে পড়েছিল একটি পাথর বোঝাই ডাম্পার। কয়েকটি বড় পাথর দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখা ছিল।
বাসটি সেই ডাম্পারের পিছনে সজোরে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। বাসের সামনেটা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। চালক-সহ বাসের সামনের দিকের আসনে বসে থাকা যাত্রীরা আহত হন। টুকটুকটি অবশ্য ততক্ষনে পগার পার হয়ে যায়।
বাস যাত্রীদেরই একজন কালিয়াচকের আনিকুল সেখ। তিনি বলেন, “রাতের বাস। বেশিরভাগ যাত্রীই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। বাসে জনা ৪৫ যাত্রী ছিলেন। আচমকা ঝাঁকুনি এবং চিৎকারে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। আমি আসন থেকে ছিটকে পড়ি।’’
স্থানীয় বাসিন্দারাই আহতদের উদ্ধারে ছুটে আসেন। আসে পুলিশের মোবাইল ভ্যানও। আহতদের বেনিয়াগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy