ফুলিয়ার রসগোল্লা
এ যেন বিশ্ব জয়ের আনন্দ। নিখুঁত ভাবে ‘সর্ব বৃহৎ’ রসগোল্লাটা তৈরি হতেই যেন মুহূর্তে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেল ফুলিয়ার বাসস্ট্যন্ড মোড় এলাকায়। অনেকেই আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন পরস্পরকে।
ক’দিন আগে রসগোল্লার পেটেন্ট পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আর বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে পাওয়া যায় যে এই ফুলিয়ারই বাসিন্দা হারাধন ময়রাই প্রথম তৈরি করেছিলেন বিশ্বখ্যাত এই মিষ্টিটাকে। বেশ কয়েক দিন আগেই এই প্রাপ্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে এক অভিনব পরিকল্পনা করে স্থানীয় জুনিয়র ওয়ান হান্ড্রেড ফাউন্ডেশেন ও আলবেকা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। তাঁরা এগিয়ে এলেন সব চাইতে ‘বড়’ রসগোল্লা তৈরির জন্য। সেই মত ররিবার সকাল থেকে ফুলিয়া বাস স্ট্যান্ড রোডে ফ্লেক্স টাঙিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। ৫ কারিগর আর ২৫ জন সহকারি ছানা আর ময়দা নিয়ে প্রস্তুত হতে থাকেন।
দেড়শো কেজি চিনি জ্বালিয়ে তৈরি করা হল রস। ৫.৮ কেজি ছানার সঙ্গে দুশো গ্রাম ময়দা মিশিয়ে মন্ড তৈরি হয়। আর ভিতরে দেওয়া হয় ক্ষিরের পুর। বিরাট মন্ডটা অতি সাবধানে ছেড়ে দেওয়া হল রসে। দেখতে দেখতে তৈরি হয়ে গেল বিরাট রসগোল্লা। কারিগররা তাদের সাফল্যের কথা ঘোষণা করতেউল্লাসে ফেটে পড়ল এলাকা। তাদের এই সাফল্যে খুশি ফুলিয়া। এলাকার বাসিন্দা জেলা পরিষদ সদস্য রিক্তা কুণ্ডু বলেন, “গোটা বিষয়টা নিয়ে আমার প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। কেবলই মনে হচ্ছিল এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে আমাদের নামী কারিগরেরা। তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমি দাঁড়িয়ে দেখেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy