পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি। — নিজস্ব চিত্র
পড়শিকে মারধর করতে গিয়ে খুন হলেন এক যুবক। নিহত ওই যুবকের নাম নির্মল রায় (৩৭)। মঙ্গলবার রাতে চাকদহের শিলিন্দা আমডাঙার ঘটনা। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে ওই রাতেই লক্ষ্ণণ বিশ্বাস নামে ওই পড়শিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে লক্ষ্মণের বাবা-মা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। বুধবার সকালে উত্তেজিত জনতা লক্ষ্মণের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে এলে প্রথমে বাধাও দেয় তারা। পরে অবশ্য দমকলের লোকজন তাদের বুঝিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশের দাবি, লক্ষ্ণণ নির্মলকে বাঁশ দিয়ে মারার কথা কবুল করেছে। জেরায় পুলিশকে লক্ষ্মণ জানিয়েছে, নির্মল তাকে হাঁসুয়া দিয়ে মারতে গিয়েছিল। নিজেকে বাঁচানোর জন্য তার এ ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় ছিল না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ নির্মল প্রতিবেশী লক্ষ্ণণের বাড়িতে গিয়ে তাকে বাইরে ডাকে। লক্ষ্ণণ ঘর থেকে বাইরে আসতেই তাকে হাঁসুয়া দিয়ো কোপাতে যায়। দু’জনের মধ্যে মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। সেই সময় লক্ষ্ণণ বাঁশ দিয়ে নির্মলকে মারে বলে অভিযোগ। নির্মল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে পালায় লক্ষ্ণণ। গুরুতর জখম অবস্থায় চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় নির্মল।
শিলিন্দা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডাঙায় একেবারে পাশাপাশি বাড়ি নির্মল ও লক্ষ্মণের। নির্মল ঠিকা শ্রমিকের কাজ করত। রেলে ফেরি করত লক্ষ্ণণ। ওদের বাড়ির কাছে একটি বিল আছে। সেখানে সময় সুযোগ পেলে দু’জনেই মাছ
ধরতে যেত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দিন পনেরো আগে ওই বিলে মাছ ধরতে গিয়ে ওদের দু’জনের গণ্ডগোল হয়। সেই গণ্ডগোল থেকেই এমন ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy