প্রতীকী ছবি।
ভেজালের তালিকাটা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। ভেজাল কীটনাশক, সিমেন্ট, ঘড়ি, ভেজাল দুধের পরে শেষ সংযোজন ভোজ্য তেল। সোমবার রাতে বহরমপুরের শিয়ালমারা থেকে প্রায় আড়াই হাজার লিটার ভেজাল ভোজ্য তেল উদ্ধার করল বহরমপুর থানার পুলিশ। যার দাম প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে। মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জন পলাতক। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘ভেজাল রুখতে আমরা জেলা জুড়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, সরষের তেলের সঙ্গে কম দামি পাম-অয়েল মিশিয়ে বাজারে আসল সরষের তেল বলে বিক্রি করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে শিয়ালমারা গ্রামে অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই সময় অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর সঙ্গীরা বাড়ির অন্য দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাম-অয়েলের প্রায় দ্বিগুণ দাম সরষের তেলের। তাই সরষের তেলের সঙ্গে পাম-অয়েল মেশানো হচ্ছিল। ওই মিশ্রণে সরষের তেলের ভাগ কম এবং পাম অয়েলের ভাগ বেশি দেওয়া হত। রং এবং ঝাঁঝ সরষের তেলের মত রাখতে এক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হত। এর পরে এই সব ভেজাল তেল গ্রামের দিকে পাচার করা হত বিভিন্ন নামী কোম্পানির তেলের ড্রামে। মিশ্রণের জন্য বেশ কিছু যন্ত্র ব্যবহার করা হত। তেলের পাশাপাশি সে সবও আটক করে পুলিশ।
বহরমপুরের গোরাবাজারের বাসিন্দা মিঠু ঘোষ মজুমদার বলছেন, ‘‘এ তো আচ্ছা সময় এল! কিসে ভেজাল আছে আর কিসে নেই তাই তো বোঝা যাচ্ছে না। ভাবুন, নিজেদের অজান্তে কী বিষ খেয়ে চলেছি। প্রশাসনের এ বিষয়ে আরও সক্রিয় হওয়া দরকার।’’
গত এক বছরে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু ভেজাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। ধরাও পড়েছে বেশ কয়েক জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy