দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলর নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর হয়ে প্রচারের ‘অপরাধে’ চার কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নদিয়ার তাহেরপুর থানার বীরনগর পুর এলাকার শনিবার রাতের ঘটনা। প্রহৃতদের মধ্যে দুই মহিলাও রয়েছেন। পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী তথা ওই তৃণমূল কাউন্সিলর গোবিন্দচন্দ্র পোদ্দারের অভিযোগ, ‘‘ভোটে জিততে পারবে না বুঝে দিশাহারা হয়ে গিয়েছেন তৃণমূল চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবুর নির্দেশেই ওই হামলা হয়েছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে পার্থবাবু বলেন, ‘‘দলের কেউ ওই ঘটনায় যুক্ত নয়। নিজেরাই গোলমাল করে আমাদের উপরে দায় চাপাচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। ওই দিন রাত আটটা নাগাদ ১০ নম্বর ওয়ার্ডেক নির্দল প্রার্থী তথা বীরনগর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান নন্দদুলাল রায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ে কয়েক জন তৃণমূল কর্মী তাঁর উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ৮২ বছর বয়সের নন্দবাবুকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে তাঁর অনুগামীদের দাবি। বাধা দিতে গিয়ে অল্পবিস্তর জখম হন তাঁর ভাইপো-সহ কয়েক জন। সেই খবর চাউর হতে ১১ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও নির্দল কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মীদের গোলমাল শুরু হয়। ১১ নম্বরে তৃণমূলের একটি ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে নির্দল কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এরপরই ১৩ নম্বর ওয়াডের নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার চালানো কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। রাতের বেলা ঘর থেক বের করে মারধর করা হয়। সেই খবর পেয়ে অন্য কর্মীরা ছুটে এলে শুরু হয় দু’পক্ষের হাতাহাতি।
অভিযোগ, মারধরের ঘটনায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই মহিলা-সহ ৪ নির্দল কর্মী আহত হয়েছেন। দলের দুই কর্মীও প্রহৃত হয়েছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে, নির্দিষ্ট ভাবে কারও নামে অভিযোগ নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy