বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে টাকা চেয়ে তাঁর উপর নিয়মিত শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ।
সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সে সব মুখ বুজে সহ্য করে সংসার করছিলেন তিনি। কিন্তু এর পর আরও ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটল। অভিযোগ, এ বার কাকাশ্বশুর ধর্ষণ করেছে ওই তরুণীকে। স্বামীকে সে কথা জানাতে প্রতিকার মেলা দূরে থাক উল্টে বেধড়ক মারধর করে শিশুকন্যা-সহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল তাঁকে। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় পরিজনদের বিরদ্ধে এই অভিযোগ তুলে রবিবার রাতে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে নবদ্বীপের তমালতলার বাসিন্দা নির্যাতিতা।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতেই পুলিশ ওই তরুণীর স্বামী, ননদ এবং কাকাশ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত আবার নবদ্বীপ আদালতের মুহুরি। শান্তিপুরের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে সাত বছর আগে বিয়ে হয় নবদ্বীপের যুবকের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার করা হত। ওই তরুণীর দাবি, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী, শাশুড়ি, ননদ
এবং কাকাশ্বশুর।
তরুণীর মায়ের অভিযোগ, বিয়েতে মেয়েকে তাঁরা সাধ্যমতো দিলেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সন্তুষ্ট হননি। মেয়েকে বাপের বাড়ির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে দেওয়া হত না। এর মধ্যে তাঁদের একটি কন্যা সন্তান হয়। তাতেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।
রবিবার রাতে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, গত ২৬ জুন, বুধবার বেলা দশটা নাগাদ কাকাশ্বশুর তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি প্রবল আপত্তি করায় তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি তাঁকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়িকে জানালে, স্বামী উল্টে তাঁকে বেধড়ক মারেন। এমনকি গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করেন। পর দিন সকালে ফের মারধর করে সাড়ে চার বছরের মেয়ে-সহ তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
রবিবার রাতে তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ শাশুড়ি এ ব্যাপারে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার নবদ্বীপের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ধৃত তিন জনকে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নবেন্দু মণ্ডল বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ, ৩৭৬, ৩২৩, ৩০৭ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy