বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র
বেশ কয়েক দিন টালবাহানার পর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিসিকেভি) শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী ও আধিকারিকেরা বেতন পেয়েছেন গত শুক্রবার। কিন্তু অগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে যত জনের বেতন চেয়ে পাঠিয়েছিল তত জনের টাকা সরকার দেয়নি। নাম ছিল ৭০১ জনের। কিন্তু সরকার বেতন দিয়েছে মাত্র ২২৫ জনের। বাকি রয়েছে ৪৭৬ জনের বেতন। কর্মী অসন্তোষ এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ থেকে ৭ কোটি টাকা খরচ করে ওই কর্মীদের বেতন মিটিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিসিকেভির অধীনে বর্ধমান ও বাঁকুড়াতে কৃষি কলেজ তৈরি হচ্ছে। সেই উন্নয়নের টাকা থেকে বেতন দেওয়া হয় ওই ৪৭৬ জন কর্মচারীকে।
বিসিকেভিতে দুই শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন। এক শ্রেণির কর্মী কাজ করেন কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে। তাঁদের বেতনের ৭৫ শতাংশ বহন করে কেন্দ্র। রাজ্য দেয় ২৫ শতাংশ। এই কর্মীরা অবসরকালীন কোনও সুবিধা পান না। আর এক শ্রেণির কর্মীর বেতন থেকে শুরু করে অবসরকালীন সুবিধা দেয় রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ২০১৩ ও ২০১৬ সালে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কোনও শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারীকে রাজ্যের বেতন কাঠামোর মধ্যে আনতে হলে অবশ্যই সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। অভিযোগ উঠছে, সেই অনুমতি নেওয়া হয়নি।
অবসর নেওয়ার কয়েক বছর আগে অনেককেই রাজ্যের বেতন কাঠামোর মধ্যে আনা হয়েছিল। তাঁদের অবসরকালীন সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল সরকারের অনুমতি না-নিয়েই। কয়েক মাস আগে তা সরকারের নজরে আসে। সে সময় কয়েক জনের বেতন বন্ধ করা হয় ও তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি কৃষি দফতর। এর ফলে সেপ্টেম্বর মাসে এত জনের বেতন হয়নি। সরকার টাকা দেয়নি। বেতন না-পাওয়ার তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন কর্তাও রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ জন শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ আসে। সেই সময় বিসিকেভি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। কয়েক মাস পরে বিসিকেভি তৈরি হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের নির্দেশের ভিত্তিতে বহু বছর পরে বিসিকেভি ২৮ জনকে নিয়োগ করে। তাঁদেরও এ বার বেতন দেয়নি সরকার। এ ব্যাপারে উপাচার্য ধরণীধর পাত্র বলেন, ‘‘একটা মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলব।’’ পরে আর ফোন ধরেননি তিনি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy